চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ডিএমপি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি

পাবনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার

পাবনা প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন ধরে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাবনাসহ সারাদেশে ডিএমপি ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি করে আসছিল। গত এক সপ্তাহ ধরে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাবনার ডিবি পুলিশ এই চক্রের ৬ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ডিএমপি ডিবি পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাপসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তাররা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার মাসুদ করিম (৪৭), বড় পাঙ্গাসী মধ্যপাড়ার আরিফুল ইসলাম (৩২), উল্লাপাড়া পশ্চিম পাড়ার মো. আরিফ (৩৩), চর আঙ্গুর গ্রামের আব্দুস শুকুর মিয়ার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৮), প্রামাণিক পাড়ার মাসুদ রানা, ভোলা জেলার নুরাবাদের  মো. হোসেন ড্রাইভার। তাদেরকে প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি জানান, গত ২৫ আগস্ট পাবনার বানিজ্যকেন্দ্র কাশীনাথপুরে জনতা ব্যাংকের শাখা থেকে ওই এলাকার জনৈক হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ির দিকে রওনা হন। পথে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের নান্দিয়ারা কবরস্থানের সামনে একটি সাদা মাইক্রোবাস নিয়ে ডাকাতদল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে শরিফুলকে আটক করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।

পরে, চোখ ও হাত পা বেঁধে নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে আলাদীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরদিন ২৬ আগস্ট শরিফুল আমিনপুর থানায় বিষয়টি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগের সূত্র ধরে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলমের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে টানা এক সপ্তাহ তদন্ত করে আন্তঃ জেলা ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। কয়েক দফা অভিযানে ভোলা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও গাজীপুর থেকে ডাকাত চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত পুলিশের পোশাক, হ্যান্ডকাফ, ওকিটকি, পুলিশের সিগন্যাল লাইটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও আলামত উদ্ধার করা হয়।

পরে তাদেরকে পাবনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

ওসি (ডিবি) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে গ্রেপ্তার করা ডাকাতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এজন্য আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।