দেশে আবারও বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। আজ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। এ সময় দেশে ৬৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিন করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আজ বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়: ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৭৬১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৮। আগের দিন এ হার ছিল ১৭ দশমিক ১৮। বাংলাদেশে সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৯১ হাজার ৩১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৫ হাজার ৮৬০ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ২১২ জনের। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।
করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে দ্রুত বাড়তে থাকে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে নিয়মিতভাবে রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমেছে। দেশে সংক্রমণ কমে আসায় আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়। তুলে নেওয়া হয় করোনাকালীন বিধিনিষেধ। ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১০০’র নিচে।
এরপর থেকে তা বেড়েছে। ১৩ থেকে ১৯ জুন এই এক সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্তের সংখ্যা ৩৮৩ শতাংশ বেড়ে যায়। এরপরের সপ্তাহে অর্থাৎ ২০ থেকে ২৬ জুন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ে ২৯৯ শতাংশের বেশি। তবে পরবর্তী সপ্তাহে অর্থাৎ ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই আগের সপ্তাহের চেয়ে প্রায় ৫৩ শতাংশ বেশি করোনা শনাক্ত হয়। সর্বশেষ সপ্তাহে অর্থাৎ ৪ থেকে ১০ জুলাই এ সংখ্যা ১৭ শতাংশ কমে যায়।
হঠাৎ করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর কারণ এখন নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি আগের মত মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন অফিস আদালতে বিধিনিষেধ কার্যকর নেই। সকলে হাঁপ ছেড়ে দিয়ে ভাবছেন করোনা মহামারি বুঝি চলে গেছে। দ্রুত প্রশাসনিক উদ্যোগে মানুষকে সচেতন করে এখনই বিধি নিষেধের পরিধি না বাড়ালে এই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে আর সেটা হবে আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। আমরা মাত্র দেশের মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে উঠেছি। সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট চলছে। এ মুহূর্তে আমাদের সরকারি বেসরকারি উদ্যেগে করোনা বিস্তার রোধ করা না গেলে সামনে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।