প্রায় এক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বৈঠকে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক এবং রাজনৈতিক কিছু বিষয়। আলোচনায় দুই নেতার কিছু বিষয়ে মতৈক্য এবং কিছু বিষয়ে মতভেদ দেখা গেছে।
গতকাল ১৫ নভেম্বর স্থানীয় সময় বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোয় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনোমিক কো-অপারেশন ফোরামের সম্মেলনের পর চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সঙ্গে বৈঠক শেষে আগামীতে দুই দেশের সম্পর্ক দায়িত্ববোধের সাথে পরিচালিত হবে এবং দুদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসীর দায়িত্বভার তাদের কাঁধে বলেও উল্লেখ করেছেন দুই নেতা।
দীর্ঘ চার ঘণ্টা যাবৎ বৈঠকে কথা বলেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং। এই বৈঠকে দুই দেশের সামরিক পর্যায়ে আলোচনা শুরু করার কথা হয়েছে। শি বলেছেন, এই আলোচনা হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে। এছাড়াও এআই বা কৃত্রিম মেধা নিয়েও একটি যৌথ সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার কথা হয়েছে বৈঠকে।
তাইওয়ান প্রসঙ্গে শি বলেছেন, চীন চায় তাইওয়ান শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সঙ্গে মিশে যাক। আর যদি জোর করতে হয়, তবে তার শর্ত নিয়ে চীন আলোচনা করতে রাজি। তবে যুক্তরাষ্ট্র যেন তাইওয়ানের হাতে আর অস্ত্র তুলে না দেয়। কিন্তু তারপরেও যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে তাদের মনোভাব বদল করেনি। তাই এই বৈঠকের পরও তাইওয়ান নিয়ে মতভেদ থেকে গেছে।
বাইডেন ও শি-র মধ্যে আলোচনায় ইসরায়েল-হামাস প্রসঙ্গও উঠেছিল। বাইডেন শি-কে অনুরোধ করেছেন, ইরান যেন কোনোরকম উসকানিমূলক কাজ না করে, তা যেন চীন নিশ্চিত করে। এই বিষয়ে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইরানের সঙ্গে আলোচনা করছেন। গাজায় যা হচ্ছে, তা যদি মধ্যপ্রাচ্যে আরও ছড়ায়, তাহলে তার ফল ভালো হবে না বলে তারা ইরানকে জানিয়েছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বলেছেন, পৃথিবী অনেক বড়। এখানে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে যে কেউ সফল হতে পারে। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যেতে বা তাদের আসন ছিনিয়ে নিতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রেরও চীনকে দমিয়ে রাখা বা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা উচিত নয়।