হাট দখল ও খাজনা আদায় নিয়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে। নগরীর পোর্ট রোড বাজার দখল নিয়ে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে।
সম্প্রতি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র অনুসারী মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা হাট বাজার ও দু’টি বাস টার্মিনালসহ ১৩টি ইজারা বাতিল করেছে নগর ভবন।
ওই সময় পোর্ট রোড বাজারেরও ইজারা বাতিল করা হয়। নতুন করে এই বাজারের ইজারাদার দাবী করে বর্তমান মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত অনুসারী বরিশাল মহানগর মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি খান মোহাম্মদ হাবিব খাজনা তুলতে গেলে এই দ্বন্দ্ব সামনে আসে।
শুক্রবার ১ ডিসেম্বর সকালে দুই গ্রুপের খাজনা তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে এই বাজারে।
পূর্বের বাজার ইজারাদারের প্রতিনিধি জাকির হোসেন বলেন, এই ঘাট বিআইডব্লিউটিএ’র। এখানে আমরা খুচরা বাজার মিলিয়েছি। আমরা এখান থেকে একটা খাজনা নেই। কিন্তু একদল এসে ব্যবসায়ীদের বলছে আমাদের যেন খাজনা না দেয়। তারা কী কারণে টাকাটা নিবে আমরা জানি না। তাদের কোন বৈধতা নেই। তারা অবৈধ ও জোর জুলুমভাবে ব্যবসায়ীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা তুলছে। আমাদের টেন্ডার আছে বৈশাখ পর্যন্ত।
মৎস্য আড়তদার সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও ইজারাদার ইয়ার হোসেন বলেন, আমরা বৈধভাবে এই ঘাট বিআইডব্লিউটিএ থেকে নিয়েছি। তারা কিসের বলে টাকা তুলতে এসেছে আমরা জানি না।
খান হাবিব বলেন, গতকাল রাতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন আমাকে বাজারের দায়িত্ব দিয়েছে। আমি আজ সকালে লোক দিয়ে টাকা তুলতে পাঠিয়েছি। কিন্তু সেখানে দেখি আড়তদার সমিতি টাকা উঠায়, বাজারসহ বিভিন্নভাবে তারা টাকা তুলছে। আমাকে লিখিত আকারে দিয়েছে। কিন্তু সেই কাগজ রাতে দিতে পারেনি, দিবে রোববার। কিন্তু তারা আমাকে খাজনা তোলার অনুমতি দিয়েছে। অথচ, এরা জোর করে এখনও টাকা তুলছে। তাদের বাজার আরও আগেই বাতিল করেছে সিটি কর্পোরেশন।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার বলেন, সম্প্রতি অভিযোগ পেয়ে ইজারা শর্ত ভঙ্গ করায় ওই বাজারের ইজারা বাতিল করা হয়েছে। এখন থেকে নগর ভবন সরাসরি রাজস্ব আদায় করবে। এখন পর্যন্ত কাউকে রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।