নিজের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘কাজলরেখা’র প্রচারণা নিয়ে সরব গুণী নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। মাস দুয়েক ধরে অনলাইনে ‘কাজলরেখা’র নানা অনুসঙ্গ নিয়ে তৎপর দেখা গেছে তাকে। কখনো সিনেমায় অভিনয়শিল্পীদের লুক, কখনো নতুন গান কিংবা ক্লিপ- তবে এবার পুরো টিম নিয়ে সশরীরে প্রচারণায় সরব হলেন নির্মাতা।
সেই ধারাবাহিকতায় গিয়াসউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে ফাল্গুনের প্রথম দিনে (বুধবার) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে গেল মস্ত কনসার্ট! এদিন দুপুর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে উপস্থিত হতে থাকেন তরুণ-তরুণীরা। বিকেল হওয়ার আগেই হাজারও দর্শকের ভিড় চোখে পড়ে। কানায় কানায় পূর্ণ হয় মুক্ত মঞ্চে পাতা সব আসন। শুধু তাই নয়, কনসার্ট শুরু হওয়ার আগেই জনস্রোত মুক্তমঞ্চের সামনের রাস্তা পর্যন্ত পৌঁছে।
সন্ধ্যায় শুরু হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘কাজলরেখা’র কাঙ্খিত সেই কনসার্ট। হাজারও দর্শকের উপস্থিতিতে মঞ্চে আসেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। সঙ্গে নিয়ে উঠেন ‘কাজল রেখা’র অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীদের।
তারআগে মঞ্চে ডেকে নেয়া হয় জাবি টিএসসির পরিচালক আহমেদ রেজাকে। কনসার্ট শুরুর আগে তিনি বলেন,“বসন্তের প্রথম দিনে শিল্পীদের নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিমের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।” এসময় আরো কথা বলেন অধ্যাপক বশির আহমেদ। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা আজকের কনসার্টে উপস্থিত হয়েছেন, তারা সবাই সৌভাগ্যবান। কারণ মৈমনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে প্রখ্যাত নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম যে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন, সেখানে যে শিল্পীরা গানগুলো গেয়েছেন- তাদের সেই গানগুলো আমরা সবার আগে তাদের কণ্ঠে সরাসরি শুনতে পারছি। এজন্য গিয়াসউদ্দিন সেলিমের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।”
‘কাজলরেখা’ চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী শরিফুল রাজ, মন্দিরা চক্রবর্তী, খায়রুল বাসার এবং সাদিয়া আয়মান সহ অন্যান্য কলাকুশলীদের নিয়ে মঞ্চে উঠেন গিয়াসউদ্দিন সেলিম। কনসার্ট শুরুর আগে তিনি উপস্থিত দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কাজলরেখা’ একটা প্রাচীন রূপকথার গল্প। সেই রূপকথার গল্প ২০২৪ সালে আমরা দেখবো, সেই সঙ্গে এই সিনেমার মাধ্যমে দেখতে পারবো আমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য।
এসময় নির্মাতা আরো বলেন, “আজকে জাবির এই সেলিম আল দীন মুক্ত মঞ্চ থেকে একটি ঘোষণা দিতে চাই। সেটা হচ্ছে, আগামি ঈদ ও বৈশাখ মিলে ‘কাজলরেখা’ সিনেমা হলে মুক্তি দিতে চাচ্ছি। এই ঘোষণা আমরা এখানেই প্রথম দিলাম।” এসময় দর্শকদের সিনেমা হলে গিয়ে ‘কাজল রেখা’ দেখার আহ্বান জানান সেলিম।
বিগত দুই বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারি অনুদান পাওয়া ‘কাজলরেখা’র শুটিং করেছেন নির্মাতা। বড় ক্যানভাসে নির্মিত এই ছবিটিকে নির্মাতা বলছেন মিউজিক্যাল ফিল্ম। কেননা এই ছবিতে প্রায় কুড়িটির মতো গান রয়েছে। ‘কাজলরেখা’ সংগীত পরিচালনা করছেন ইমন চৌধুরী।
তার নেতৃত্বেই বুধবার জাবিতে শুরু হয় ‘কাজলরেখা’র কনসার্ট। যেখানে ইমন চৌধুরী ছাড়াও মঞ্চে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী গান পরিবেশন করেন মিথুন, শিবলু, মাশা ইসলাম, অবন্তী সিঁথি, হুমায়রা, আকাশ, সালেহ, মাখন, অন্তরা সহ অনেকে।