সংগ্রহটা খুব একটা বড় ছিল না কুমিল্লার। ন্যূনতম পূঁজি নিয়েই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে আটকে দিয়েছে লিটন দাসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া। আলিস ইসলামের খ্যাপাটে বোলিংয়ে সিলেটকে ৫২ রানে হারিয়ে আসরে টানা দ্বিতীয় জয় পেল কুমিল্লা। অন্যদিকে তিন ম্যাচেই পরাজয় দেখল সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে কুমিল্লাকে আগে ব্যাটে পাঠান সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে নেমে ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে এদিনও ব্যর্থ হয়েছেন ওপেনার লিটন কুমার দাস। ৪ বলে ৮ রান করেই ফিরে যান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন ইমরুল কায়েস। ৩টি চার ও এক ছক্কায় খেলেছেন ২৮ বল। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেছেন জাকির আলি। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৭ বল খেলে আউট হন তিনি।
২২ বলে ২১ রান করেছেন খুশদিল শাহ। পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান করেন ১৬ বলে ১৪ রান। বাকী ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
সিলেটের হয়ে সামিত প্যাটেল তিনটি ও রিচার্ড এনগারাভা নেন দুটি উইকেট। এছাড়া বেন কাটিং ও তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে নেমে আলিস ইসলামের ঝলকে দলীয় ২৮ রানে পাঁচ ব্যাটারকে হারায় সিলেট। সপ্তম উইকেট জুটিতে রায়ার্ন বার্লকে নিয়ে ৪০ রানের জুটি গড়েন জাকির হাসান। ১৩.৪ ওভারে দলীয় ৬৮ রানে বার্ল ফিরে যান ১৮ বলে ১৪ রান করে। একইওভারে জাকিরও পথ ধরেন প্যাভিলিয়নের। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেছেন জাকির। ৩৪ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৬টি চারের মার। পরে ৭৮ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।
কুমিল্লার হয়ে আলিস ইসলাম নেন চারটি উইকেট। রোস্টন চেজ নেন দুটি। এছাড়া খুশদীল শাহ, ম্যাথু ফোর্ড ও তানভীর ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।