এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
একটানা ২৬ দিন বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এমন পরিস্থিতিতে একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে উপাচার্যের আলোচনার চিঠি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। একই সাথে সিন্ডিকেটের গঠন করা দুটি কমিটির প্রতিও অনাস্থা জানিয়েছেন তারা।
রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈনের সাথে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানকে চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১ মে থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির করা সাত দফা দাবি আদায়ে একাডেমির সকল কার্যক্রম বর্জন করেন শিক্ষকরা। পরেই এই আন্দোলনের দাবি এক দফায় গিয়ে ঠেকে। শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন।
এঅবস্থায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রশাসনের ফল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দ্রুত ক্লাস শুরু হবে এমন আশায় এখনো হলে অবস্থান করছেন অনেক শিক্ষার্থী।
![](https://i0.wp.com/www.channelionline.com/wp-content/uploads/2024/02/Channeliadds-Reneta-16-04-2024.gif?fit=300%2C250&ssl=1)
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএফএম আব্দুল মঈন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্যই আমরা শিক্ষক সমিতির সাথে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তারা সেই চিঠিতে সাড়া দেয়নি। তবে আলোচনার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মো. আবু তাহের জানান, সিন্ডিকেটকে প্রভাবিত করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন উপাচার্য। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে, খোলার জন্য আমাদের সাথে আলোচনা করার দরকার নাই। যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন তখন তো কারো সাথে আলোচনা করে করেননি। আর আমরাও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে আছি। এর আগে যখন আমরা আমাদের সাত দফা দাবির বাস্তবায়ন চেয়েছিলাম তখন তো তিনি আমাদেরকে ডাকেননি। সেই জায়গায় আপনি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপার আমাদেরকে ডাকছেন। আমাদের পরামর্শ আপনার দরকার নেই। বিশ্ববিদ্যালয় তো উপাচার্য বন্ধ করেছেন। সে কারণে আমরা ওনার সাথে আলোচনায় সাড়া দেইনি। তার মানে এই নয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপারে আগ্রহ নেই।
এদিকে উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। তারা চান, দু’পক্ষের আন্তরিকতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়া হবে বিশ্ববিদ্যালয়।