
আর্থার অ্যাশে স্টেডিয়ামে চার পরিবেশকর্মীর বিক্ষোভে বাধার মুখে পড়ে ইউএস ওপেনে কোকো গফ এবং ক্যারোলিনা মুচোভার মধ্যকার সেমিফাইনাল। এক বিক্ষোভকারী তার খালি পা কংক্রিটের মেঝেতে আঠা দিয়ে আটকে ফেলেন। ৪৯ মিনিট বন্ধ থাকে খেলা। পরে মুচোভাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটেন কোকো গাফ।
বৃহস্পতিবার রাতে ম্যাচের প্রথম সেটে কোকো গাফ ৬-৪ ব্যবধানে জয় পান। দ্বিতীয় সেটে তিনি ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের বাধায় খেলা বন্ধ হয়। প্রথমে নিরাপত্তারক্ষী, এরপর দেড় ডজনেরও বেশি পুলিশ কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের সরাতে যান। বিক্ষোভকারীরা যে শার্ট পরেছিলেন তাতে লেখা ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করুন।
পরে খেলা আবারো শুরু হলে দ্বিতীয় সেটে দশম বাছাই চেক রিপাবলিকের মুচোভাকে ৭-৫ ব্যবধানে হারান কোকো গাফ। যুক্তরাষ্ট্রের এ খেলোয়াড় প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেনের ফাইনালে পা দিলেন।
ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, তিনজন প্রতিবাদকারীকে কোনো ঘটনা ছাড়াই স্টেডিয়াম থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল। তবে কোর্টে আঠা দিয়ে পা আটকে ফেলা ব্যক্তিকে সরাতে আরও বেশি সময় লাগে। ইউএস টেনিস অ্যাসোসিয়েশন এবং নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট, আর চিকিৎসা কর্মীদের সহায়তায় তাকে সরানো সম্ভব হয়।

র্যাঙ্কিংয়ের ষষ্ঠ স্থানে থাকা ১৯ বর্ষী তারকা ফাইনালিস্ট হওয়ার পর বলেন, ‘ম্যাচে বাধার সম্মুখীন হওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ আপনি জানেন, এটা সাধারণ কোনো বিলম্ব ছিল না। আমরা জানতাম না খেলা শুরু হতে কত সময় লাগবে। সুপারভাইজার এবং নিরাপত্তাকর্মীদের সাথে আমরা কথা বলছি। তারা বলতে পারেন যে পাঁচ মিনিট বা এক ঘণ্টার মতো লাগতে পারে। কখন শুরু হবে, তা নির্ধারণ করা কঠিন ছিল।’
‘তবে আপনি জানেন, জীবনে এমনটা ঘটে থাকে। তাই আমি প্রথম সেট এবং প্রথম গেমটি জেতার সময় যে গতি রেখেছিলাম, সেটি ধরে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করি।’
সেমিফাইনালে বাধা দেয়ার সময় একজন প্রতিবাদকারী বলেছিলেন যে, তারা ইউএস ওপেনকে জবাবদিহিতার মুখে আনতে চেয়েছিল। কারণ আসরটির স্পন্সর যেসব বড় কর্পোরেশন আছে, তাদের নীতিগুলো বিশ্ব উষ্ণায়নে ভূমিকা রাখছে।
এ ব্যাপারে গফের ভাষ্য, ‘শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। তাই আমি এতে খুব বেশি ক্ষিপ্ত হতে পারি না। স্পষ্টতই আমি যখন ৬-৪, ১-০ ব্যবধানে জিতেছি তখন গতি ঠিক রেখে খেলা চালিয়ে জেতে চাইছিলাম। যদি তারা মনে করে, তাদের কণ্ঠস্বর শোনার জন্য এমন কাণ্ড করা দরকার, আমি সত্যিই এতে বিচলিত হতে পারি না।’
গত জুলাই মাসে উইম্বলডনে দুটি ম্যাচ বাধাগ্রস্ত হয়। পরিবেশকর্মীরা স্ট্যান্ড থেকে কোর্টে লাফিয়ে পড়ে এবং ঘাসের উপর কমলা রঙ ছিটিয়ে দেয়।
ফাইনালে পৌঁছে যাওয়ার পরও পা মাটিতেই রাখছেন মার্কিন কৃষ্ণকলি। বলেছেন, ‘আমি এই টুর্নামেন্টটি দেখে বড় হয়েছি। তাই ফাইনালে যাওয়ার মানে অনেক বড় ব্যাপার। উদযাপন করার জন্য যথেষ্ট। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। আশা করি, শনিবার ফাইনালে আমাকে সমর্থন করবেন।’