গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমি থেকে শাক তোলা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংর্ঘষে বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়। এসময় নগদ টাকাসহ গরু লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১১টায় পর্যন্ত চলা দফায় দফায় হামলা-ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (২৬ মার্চ) দুপুরে শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের শামীমের স্ত্রী রুমি বেগম ও রাসেলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম পার্শ্ববতী শ্রীমুখ গ্রামের আনোয়ারের মরিচের জমিতে শাক তুলতে যায়। এসময় আনোয়ারের পুত্র মাহমুদুল শাক তুলতে বাঁধা দিলে তাদের সঙ্গে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে পর দিন মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) দুপুরে মরিচের জমিতে কাজ করার সময় আনোয়ারের দুই পুত্র বেলাল ও মাহমুদুলের সঙ্গে শামীম ও রাসেলের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে উভয় পক্ষ সংর্ঘষে লিপ্ত হয়। এতে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আনোয়ার তার পুত্র বেলাল ও মাহমুদুল আহত হয়।
এই ঘটনার জের ধরে রাত ৯টার দিকে মালঞ্চা গ্রামের কতিপয় লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে শ্রীমুখ গ্রামের আনোয়ারের বাড়িসহ আশপাশের ২/৩টি বাড়িতে ভাঙচুর করে। এসময় পরিবারে লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে তারা পলিয়ে যায়। এরপর শ্রীমুখ গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে মালঞ্চা গ্রামে এলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ বাঁধে। গ্রামবাসীর দাবি, এ সময় ৪টি বাড়ি, ২টি দোকান ভাঙচুর ও বেশ কয়েকটি গরু লুটপাটের ঘটনা ঘটে এবং সুমনা নামে এক নারী আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।