চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনা

ভারতের ওড়িশায় তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ভারতসহ আতঙ্কিত করেছে বাংলাদেশের মানুষকেও। এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন শালিমার থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভুবনেশ্বরের উদ্দেশে ট্রেন যাত্রায় বেঁচে যাওয়া এক যাত্রী গৌতম মুখোপাধ্যায়।

গৌতম বলেন, ঘড়িতে তখন সময় সন্ধ্যা ৭টা। ট্রেনের বেশিরভাগ যাত্রীরা ঘুমাচ্ছিলেন। আমি কখনও ভাবতেও পারিনি এই অল্প সময়ে এমন কিছু হয়ে যাবে। আমরা সবাই নিজেদের মতো আরামে বসে ছিলাম। আমিও কিছুটা তন্দ্রাছন্ন অবস্থায় ছিলাম। হঠাৎ বিকট ঝাঁকুনিতে সব উলট-পালট হয়ে গেল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম, সহযাত্রীরা ঝুলন্ত বার্থ থেকে কেউ আছড়ে পড়লেন, কেউ ছিটকে গেলেন অনেকটা দূরে। যারা বসেছিলাম, তারাও হুমড়ি খেয়ে সজোরে আছড়ে পড়লাম বগির মেঝেতে। এতক্ষণেই দেখলাম অনেকে আহত হয়ে গেছে। কারও মাথা ফেটে গেছে তো কারও হাত-পাতে গভীর আঘাত। তড়িঘড়ি দরজা খুলে বেরোতে গিয়েও পারলাম না। কারণ, বগির পরপর জানালা, দরজার কাঁচ ভেঙে খুঁটি আর তার তালগোল পাকিয়ে ভিতরে ঢুকে এসেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, স্থানীয়রা না থাকলে বাঁচাটা প্রায় অসম্ভব ছিল। ওরাই কোনরকমে আমাদের বগি থেকে টেনে টেনে বের করলেন। বাইরে এসে দেখলাম, রেললাইনের ধার বরাবর একের পর এক বিদ্যুৎ লাইনের খুঁটি দুমড়ে-মুচড়ে আছড়ে পড়েছে বগির গায়ে।

গৌতম আরও বলেন, আশেপাশে দেখে বুঝতে পারলাম- না হলেও শতশত মানুষ মারা গেছেন। আহত কয়েক শতাধিক। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ক্রমশ ঘটনাস্থল ছেড়ে খানিক এগিয়ে গেলাম। আর্তনাদ, অ্যাম্বুল্যান্সের সাইরেন সব মিলিয়ে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি। এমন ভয়াবহ দৃশ্যের সাক্ষী যেন আর কাউকে না হতে হয়।