প্রথমবারের মতো প্রদান করা হয়েছে চন্দ্রাবতী সাহিত্য পুরস্কার। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দেশের শীর্ষস্থানীয় পাঁচ লেখকের হাতে তুলে দেয়া হলো এ পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি কামাল চৌধুরী। অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি আসাদ মান্নান ও কবি-গবেষক শিহাব শাহরিয়ার।
প্রথমবারের মতো এই পুরস্কার পেয়েছেন শিশুসাহিত্যে ফারুক নওয়াজ, কবিতায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল, কথাসাহিত্যে আকিমুন রহমান, প্রবন্ধে সরকার আব্দুল মান্নান, গবেষণায় সালিম সাবরিন। এছাড়া, চন্দ্রাবতীর বিশেষ সম্মাননা পান কলকাতার নজরুল গবেষক সোমঋতা মল্লিক।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কামাল চৌধুরী বলেন, চন্দ্রাবতী পুরস্কার অব্যাহত থাকুক ও এবারের মতো আগামী দিনেও বিদগ্ধজনদের হাতে এই পুরস্কার শোভা পাক।
কবি আসাদ মান্নান বলেন, পুরস্কারে ভূষিত পাঁচজনই বর্তমান বাংলা সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ লেখক। এই পুরস্কার ভবিষ্যতে সাহিত্যে বিশেষ স্থান অর্জন করুন।
কবি শিহাব শাহরিয়ার বলেন, বাংলাদেশে পুরস্কার যখন মর্যাদা হারাচ্ছে, সেখানে শুরুতেই চন্দ্রাবতী সবার চোখ খুলে দিলো। ঢাকার বাইরে থেকেও যে প্রকৃত লেখকদের মূল্যায়ন করা যায়, আজকের অনুষ্ঠানটি তারই উজ্জ্বল প্রমাণ।
সভাপতি রফিকউল্লাহ খান বলেন, অহনা নাসরিন ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসে চন্দ্রাবতী পুরস্কার প্রদান করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। যারা পুরস্কৃত হয়েছেন, তারা সবাই জাতীয় পর্যায়ের লেখক। কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল আমার বন্ধু বলে বলছি না, তার কবিতা শুরু থেকেই শক্তিশালী, এখন আরো সমৃদ্ধ বহুমাত্রিক। আকিমুন রহমানও গুরুত্বপূর্ণ কথাশিল্পী।
আলোচকরা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের সৃজনশীলতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ও সমকালীন সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিত নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকরাও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল কানাডা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সদ্য প্রয়াত কবি আসাদ চৌধুরীর স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।