চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে তার বহিষ্কার চেয়ে মিছিল করেছে চবি ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার ১১ মে রাত সাড়ে ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর নেতাকর্মীরা জিরো পয়েন্ট থেকে স্টেশন পর্যন্ত মিছিল করে।তারা মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ও সভাপতির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
শাখা ছাত্রলীগের এই অংশ নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাসিরউদ্দিনের অনুসারী।
শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘চবি ছাত্রলীগের অযোগ্য সভাপতি, পদ পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক কেলেঙ্কারি ঘটাচ্ছে। কর্মীদের দিয়ে পা টেপানো, মেয়েদেরকে মেসেঞ্জার-হোয়াটস্যাপে বিরক্ত করা, নিজের অশ্লীল ছবি ভাইরালসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হয়ে সে চবি ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।’
এ বিষয়ে রেজাউল হক রুবেল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘যারা এসব কর্মকাণ্ড করছে তারা অন্য গ্রুপ। তারা আমাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে পারছে না বলে এসব অপকর্ম করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদের মধ্যে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় তাপস হত্যা মামলার আসামী। আমি বিভিন্ন সময় তাপসের হত্যার বিচারের দাবি করায় দুর্জয় আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এসব করছে।’
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘আমি সভাপতিকে বিগত পাঁচ ছয় বছরে তাপস হত্যা মামলার বিচার চাইতে দেখিনি। তাছাড়া ২০১৪ সালে তাপস হত্যা মামলার যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে, তাতে আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাপসের মৃত্যুর পেছনে কার হাত ক্যাম্পাসের সবাই জানে। তারা নিজেরাই এ কাজ করে আমরা প্রতিপক্ষ বলে আমাদের নামে মামলা দিয়েছে।’
২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে শাহজালাল হল ও শাহ আমানত হলের ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ছাত্রলীগ কর্মী ও সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র তাপস সরকার। পরে ১৭ ডিসেম্বর তাপসের সহপাঠি হাফিজুল ইসলাম হাটহাজারী থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৬ সালে ২ মে ২৯ জনকে আসামী করে মামলার চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।
চার্জশিটে মূল অভিযুক্ত হলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক উপসম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশা। কিন্তু সাক্ষ্য ও প্রমাণের অভাবে ৯ বছরেও বিচার হয়নি এই মামলার।