চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘দেশে প্রতি বছর ২ লাখ করে ক্যান্সারের রোগী বাড়ছে’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাকিথেরাপি মেশিন উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে ১৫ লাখ ক্যান্সারের রোগী রয়েছে। প্রতি বছর আরও ২ লাখ করে ক্যান্সার রোগী বাড়ছে।

তিনি জানান, প্রতি বছর ১ লাখ ৫০ হাজার ক্যান্সারের রোগী মারা যায়। এসব রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এতে দেশের অনেক অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগে ক্যান্সারের চিকিৎসায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ব্যাকিথেরাপি ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল কনফরমাল থেরাপি (থ্রিডিসিআরটি)’ মেশিনের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার সকাল (৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্সার ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রধান অতিথি হিসেবে এ ব্যাকিথেরাপি (থ্রিডিসিআরটি) মেশিনের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েই বেশী সংখ্যক ক্যান্সার রোগীর চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছে। ক্যান্সার চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রোগীর কোথায় ক্যান্সার অবস্থিত তা নির্ণয় করে টার্গেট থেরাপি দেয়া হবে এই ব্যাকিথোরপি (থ্রিডিসিআরটি) মেশিন  দিয়ে। এখানে লিনিয়্যাক মেশিনের মাধ্যমেও ক্যান্সার চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে রেডিও থেরাপি ও কেমোথেরাপির মাধ্যমেও চিকিৎসাসেবা চলছে।

তিনি বলেন, ইদানিং বাংলাদেশে তরুণীদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশী ধরা পড়ছে। ৩০-৫০ বছর নারীরা বেশী জরায়ু ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। তাদের স্ক্রিনিং করার জন্য একটি সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। রক্তের ক্যান্সার রোগীদের সেবার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগও কাজ করছে। এছাড়া ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর রয়েছে। তিনি আটটি বিভাগে আটটি ক্যান্সার হাসপাতাল করছেন। ক্যান্সার  প্রতিরোধে সচেতনতা জরুরি। সচেতন হলে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে তা নিরাময় যোগ্য।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ।

এর আগে বিশ্ব ক্যান্সার দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ‘ক্লোজ দ্য কেয়ার গ্যাপ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বি-ব্লক থেকে শুরু হয়ে বট তলা, এ-ব্লক, টিএসসি, ডি-ব্লক, সি-ব্লক প্রদক্ষিণ করে জামে মসজিদ হয়ে ক্যান্সার ভবনে গিয়ে শেষ হয়।