এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের আগে ফ্রাঞ্চাইজি লিগে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস কানাডার গ্লোবাল টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলছেন। জিম্বাবুয়েতে জিম আফ্রো টি-টেন লিগে অংশ নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ ও মুশফিকুর রহিম।
কানাডার ব্রামটনে শুক্রবার মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের হয়ে খেলতে নামেন সাকিব, সারে জাগুয়ার্সের হয়ে মাঠে নামে লিটন। জাতীয় দলের দুই সতীর্থ সাকিব ও লিটনের মুখোমুখি লড়াই ছিল বাড়তি আকর্ষণ। এ ম্যাচে লিটনের উইকেট শিকার তো বটেই, দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মন্ট্রিয়ল টাইগার্সের বড় অবদান রাখেন টাইগারদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক।
আগে ব্যাট করা সারে জাগুয়ার্স ৬ উইকেটে ১৩৬ রান করে। লিটন ১১ বলে ৯ রান করে সাকিবের বলে কাভারে ধরা পড়েন। ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার সাকিব।
মন্ট্রিয়ল টাইগার্স ৯ বল হাতে রেখেই ৫ উইকেটের জয় পায়। ১৩ বলে ৪টি চার ও এক ছক্কায় ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে সাকিব নেপালি লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানের বলে আউট হন। বিস্ময়করভাবে অবশ্য ম্যাচ সেরা হননি সাকিব। ৩১ বলে অপরাজিত ২৮ রান করে ম্যাচ সেরা হন দিলপ্রীত সিং।
এদিকে, শুক্রবার জিম আফ্রো টি-টেন লিগে বুলাওয়ায়ো ব্রেভসের হয়ে মাঠে আগুন ঝরান তাসকিন। জোহানেন্সবার্গ বাফেলোজের বিপক্ষে প্রথম ওভারে তিনি খরচ করেন ৫ রান। পরের ওভারে পান ৩ উইকেট। দুই ওভার ১১ রানে ঝুলিতে ৩ উইকেট নেন টাইগার পেসার। তার শিকার ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ, রবি বোপারা ও ডেলানো পটগিয়েটার।
৩ ওভারে ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে জোহানেসবার্গ। বিপদে পড়া দলকে উদ্ধার করেন মুশফিক। বুলাওয়ায়ো অধিনায়ক সিকান্দার রাজার বলে ইংলিশ ব্যাটার ব্যান্টন ১৮ বলে ৩৪ করে আউট হন।
মুশফিকের ঝড় অবশ্য চলতে থাকে। তিনি অপরাজিত ২৩ বলে ৪৬ রান করে থাকেন। ১০ ওভারে ১০৫ রান সংগ্রহ করে জোহানেসবার্গ। জবাবে বুলাওয়ায়ো ১০ ওভারে করে ৯৫ রান। ফলে ১০ রানে জয় পায় মুশফিকের দল।
একইদিন আরেক ম্যাচে বুলাওয়ায়োর হয়ে মাঠে নামেন তাসকিন। অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ৩০ বলে ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে বুলাওয়ায়ো ১০ ওভারে করে ১২৮ রান।
পরে বল হাতে তাসকিন প্রথম ওভারেই রবিন উথাপ্পার উইকেট তুলে নেন। ২ ওভারে মাত্র ৭ রান খরচ করেন। হারারে হারিকেন্স ১০ ওভারে করতে পারে মাত্র ৭৯ রান। তাসকিনের দল ৪৯ রানের জয় পায়।