২০২২ সালে হাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে হেরেছিল বাংলাদেশ। এক জয়ের সঙ্গে আছে দুই ড্র। সবমিলিয়ে বলা যায়, স্প্যানিশ কোচের অধীনে ছেলেদের জাতীয় ফুটবল দলের ফলাফল সুবিধার নয়। এরপরও স্প্যানিশ কোচের সাথে আরও একবছরের চুক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
চুক্তি নবায়নের পর প্রথমবার বাফুফের সহ-সভাপতি এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদের সঙ্গে সভায় বসেন ক্যাবরেরা। বুধবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগও।
আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কাজী নাবিল। ক্যাবরেরার কোন দিকটায় সন্তুষ্ট হয়ে চুক্তি নবায়ন করেছেন- এমন প্রশ্নের মুখে তিনি দিলেন একটি ভুল তথ্য।
‘আমাদের সাথে গত একবছর ক্যাবরেরা কাজ করেছে। আমরা যদি পেছনে তাকিয়ে দেখি, জুন মাসে যে এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের খেলাটা হয়েছিল, সেখানে ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ড্র করেছিলাম।’
বাস্তবতা হল গত ১ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে তাদের মাটিতে যে ম্যাচে জামাল ভুঁইয়ারা গোলশূন্য ড্র করেছিলেন, সেটি ছিল আসলে ফিফা প্রীতি ম্যাচ। ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যানের ভুল তথ্য দেয়া তাই বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
পরের তথ্যগুলো অবশ্য ঠিকঠাক দেন কাজী নাবিল, ‘এএফসি এশিয়ান কাপে বাহরাইনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলে ২-০ গোলে হেরেছিলাম। তুর্কমেনিস্তানের সঙ্গে যে খেলাটা ছিল সেটা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ছিল, ২-১ গোলে হেরেছিলাম।’
পরিসংখ্যান বলছে ক্যাবরেরার অধীনে সফল নয় বাংলাদেশ। বাফুফের সহ-সভাপতি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়ার বিষয়টি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখাতে চাইলেও মালদ্বীপের কাছে হেরে স্প্যানিশ কোচের মিশন শুরু করা, কাঠমান্ডুতে নেপালের কাছে ৩-১ গোলের হার, এসব দিক যে চুক্তি নবায়নের আগে বাফুফে আমলে নেয়নি তাও যেন পরিষ্কার।
একবছর আগে ক্যাবরেরা লাল-সবুজের দলের কোচ হয়ে আসার সময় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ১৮৬তম স্থানে ছিল। সেসময় তিনি বলেছিলেন, ‘একবছর পর কোন অবস্থানে থাকব তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে অবশ্যই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি আমাদের লক্ষ্য।’ যদিও বাস্তবে উন্নতির ছিটেফোঁটাও নেই। ৬ ধাপ নেমে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন ১৯২তম স্থানে। সেই ক্যাবরেরার অধীনেই র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির আশা করছেন কাজী নাবিল।
‘যেহেতু সে একবছর কাজ করেছে, তাই খেলোয়াড়দের সম্পর্কে তার ধারণা তৈরি হয়েছে। ভালো কিছুর জন্যই তার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হয়েছে।’
‘এবছর আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি যে, সময়টা এমনভাবে ব্যবহার করতে পারি যাতে আমরা (ফিফা উইন্ডোর) খেলাগুলো খেলতে পারি। অবশ্যই আমরা র্যাঙ্কিংয়ে আরেকটু উন্নতি করে বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে আসতে চাই। আমাদের অবশ্য আরও শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলতে হবে।’
জানতে চাওয়া হয়েছিল কোনো শক্তিশালী দলকে ফিফা উইন্ডোতে খেলানোর জন্য আনার সম্ভাবনা আছে কিনা। খানিকটা সুর বদলে কাজী নাবিল বললেন, ‘শক্তিশালী দল আসবে এমন কথা বলিনি। গতবার যখন খেলেছিলাম তখন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ছিল।’
‘মার্চে আমরা কাছাকাছি র্যাঙ্কিংয়ের দলের সাথেই খেলার চেষ্টা করছি। তাদের সঙ্গে খেললে সাফে খেলার সঙ্গে মূলত সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। আমাদের দেশেই মার্চে ফিফা উইন্ডোর খেলাগুলো যেন হয়, সেই চেষ্টা করবো। আমাদের সবসময় সাফ কেন্দ্রিক চিন্তা-ভাবনা থাকে। এই সাফে ভালো করার জন্য সমস্ত কথাবার্তা হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন