সম্প্রতি দেশের একাধিক গণমাধ্যম খবর বের হয়, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে ডাক পাচ্ছেন হামজা চৌধুরী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারের ক্যাম্পে ডাক পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য বাফুফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই জানানো হয়নি। ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ও অ্যাওমে ম্যাচের স্কোয়াডেও তার নাম নেই। ভবিষ্যতে অবশ্য ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা।
বাফুফে ভবনে বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের বিপক্ষে লড়াইয়ের আগে ঘোষিত স্কোয়াড, সৌদি আরবের ক্যাম্প ও কুয়েতে অ্যাওয়ে ম্যাচ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবরেরা কথা বলেন। ২৬ বর্ষী হামজাকে দলে পাওয়ার ব্যাপারে জানান নিজের আশাবাদ।
‘আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে বলেই মনে করি। ফুটবল ফেডারেশনের ম্যানেজমেন্ট এ বিষয়ে আমার চেয়ে অবশ্যই বেশি ভালো বলতে পারবে। হ্যাঁ, এই উইন্ডোতে সে বাংলাদেশের হয়ে খেলবে কিনা, এটা হয়তো এতটা প্রাসঙ্গিক নয়। কিন্তু আজ হোক কিংবা কাল হোক, এই সম্ভাবনা সত্যি হতে পারে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে বেশ ইতিবাচক থাকতে হবে। আজ হোক কিংবা কাল হোক, আশা করি আমাদের জাতীয় দল তার মতো খেলোয়াড় পাবে।’
২০১৫ সালে লেস্টার সিটিতে যোগ দেন হামজা। পরের বছর বার্টন অ্যালবিয়নেধারে যোগ দেন ধারে যোগ দেন। গত মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে ধারে খেলেছেন তিনি। বাংলাদেশি মা ও গ্রানাডিয়ান বাবার সন্তান হামজা বেড়ে উঠেছেন ইংল্যান্ডের লাফবরোতে। ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলারের নানা বাড়ি সিলেটে। ছোটবেলায় প্রায়ই ঘুরতে আসতেন সেখানে। তার বাড়িতে বাঙালিয়ানা পরিবেশের কথা ২০১৯ সালে বিবিসিকে জানিয়েছেন হামজা। ওই সময় জানিয়েছিলেন, পরিষ্কার বাংলা বলতে পারেন । হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করেন।