চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনের মত আইনজীবীদের আদালত বর্জন

দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ দাবি

মনজুরুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই বিচারকসহ নাজিরের অপসারণ চেয়ে আইনজীবীদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল আদালত বর্জন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে। এতে বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

আজ রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে জেলার কোন আদালতেই যায়নি আইনজীবীরা। আইনজীবী সমিতির কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে তাদের কর্মসূচি পালন করছে। এতে করে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

এর আগে জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারনের দাবিতে (বৃহস্পতি, রবি ও সোমবার) তিন দিনের জন্য সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি।

এদিকে বিচারপ্রার্থীরা দূর দূরান্ত থেকে এলেও আইনজীবীদের কোর্ট বর্জন ও আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম না থাকায় তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে। এতে তারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, কর্মসূচির নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিষয়টির সুরাহা না হলে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া উচ্চ আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ তিন আইনজীবীকে তলবের বিষয়ে তিনি জানান, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৭ তারিখ উপস্থিত থেকে মাননীয় বিচারপতির কাছে আমাদের বক্তব্য উপস্থাপন করব।

এ বিষয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: মোস্তফা কামাল বলেন, আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আদালতে এসে রীতিমত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইনজীবীরা আদালতে না আসায় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির নেতাসহ একাধিক আইনজীবীর সাথে বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বাক-বিতণ্ডা হয়। সময় পার হয়ে যাওয়ায় (নিয়ম অনুসারে) বিচারক মামলাটি নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সভা করে ১ জানুয়ারি থেকে সংশ্লিষ্ট আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। এছাড়াও তারা জাল স্ট্যাম্প ও বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জাড়িত আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণে জেলা জজের কাছে দাবি জানান।

আইনজীবীদের অভিযোগ, জেলা জজ নাজিরকে রক্ষায় ভূমিকা রাখছেন এবং জেলা জজের ইন্ধনেই বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন আইনজীবীদের বিরুদ্ধে কর্মবিরতি ও মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করে। সেজন্য তারা জেলা জজ শারমিন নিগার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণের দাবি জানান।