মনজুরুল আলম: ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের চলমান অস্থিরতার আংশিক অবসান হয়েছে। ঢাকায় আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর চলমান আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইনজীবীরা।
শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি ভবনে সাধারণ সভা থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তানভীর ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুলসহ জেলার সব আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার থেকে আইনজীবীরা আদালতে যাবেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে। এছাড়া নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি করতে হবে।
‘যদি আগামী ২৪ জানুয়ারীর মধ্যে ওই দুই বিচারকসহ নাজিরকে অপসারণ করা না হয় তাহলে সাধারণ সভা থেকে আবারও সকল আদালত বর্জনের কর্মসূচী নেওয়া হবে’ বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেয়।
অন্যদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারিরা। এ অবস্থায় জেলা জজ শারমিন নিগার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ মোহাম্মদ ফারুক ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারী থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা। এছাড়াও বিচারকের সাথে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছে উচ্চ আদালত।