আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ঠাঁসা ম্যাচে ছিল উত্তেজনা, ফাউলের ছড়াছড়ি, শক্তি প্রদর্শনের বাড়াবাড়ি। ঝাঁঝালো মোহামেডান-আবাহনী দ্বৈরথে লাল কার্ড দেখানো নিয়েও হয়েছে গোলমাল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও জোড়া পেনাল্টি কিকে লক্ষ্যভেদে সক্ষম হওয়ায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
ময়মনসিংহ, রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুপুরে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই দারুণ এক গোলে লিড পায় ঢাকা আবাহনী। ডি বক্সের বাইরে ফাউলের শিকার হন ব্রুনো রোচা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নিজেই নেন ফ্রি কিক। কোণাকুণি শটে সম্পূর্ণভাবে পরাস্ত হন মোহামেডান গোলরক্ষক সুজন হোসেন। বল জালে জড়ালে আকাশী-নীলরা উদযাপনে মাতে।
মিনিট পাঁচেক পর সাদা-কালোদের মিডফিল্ডার মোজাফফরফের দূরপাল্লার ফ্রি কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১৪ মিনিটে ব্রুনো রোচার কিক পোস্টের উপর দিয়ে না গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো। খানিক পর আরিফ হোসেনের ক্রসে শেষ মুহূর্তে সোলেমান দিয়াবাতে টোকা দিতে না পারায় আনতে পারেননি সমতা।
মেহেদী হাসানের থ্রো ইনে বল ডি বক্সে যায়। জটলার ভেতর রাকিবের কিক ১৬ মিনিটে পা দিয়ে ঠেকান আবাহনীর গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। ৩৯ মিনিটে মিনহাজুল আবেদিন রাকিবের শট সামান্য উপর দিয়ে যাওয়ায় মোহামেডান জালের দেখা পায়নি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে দিয়াবাতের শট আবাহনীর ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ সেইখির বুকের পাজরে লাগে। ব্যাথায় কাতরে মাঠে পড়ে যান। সামান্য সময়ের জন্য বন্ধ থাকে খেলা।
বিরতির পর ৫১ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হারায় মোহামেডান। মোজাফফরফের পাসে বল পাওয়া ইমানুয়েল টনির শট দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে শরীরে আটকে নেন গোলরক্ষক পাপ্পু।
৫৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পাওয়া আবাহনী ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দিকে নেয়। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ওয়াশিংটনের ক্রসে বল নেন রোচা। সুজন ঝাঁপিয়ে বল ধরতে না পারায় করনেলিয়াস স্টুয়ার্ট লক্ষ্যভেদ করেন।
ডি বক্সের ভেতর ইমানুয়েল সানডেকে ফাউল করেন হৃদয়, পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বাজে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন হৃদয়। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মোহামেডানের হয়ে ৬৮ মিনিটে নিশানাভেদ করেন সোলেমান দিয়াবাতে।
৭৩ মিনিটে রোচার শট বারে লেগে ফিরলে আবাহনী পায়নি তৃতীয় গোলের দেখা।
খেলার ৮০ মিনিটে নাটকীয় ঘটনার দেখা মেলে। ডি বক্সে জটলার ভেতর ওয়াশিংটনের হাতে বল লাগায় রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। আবাহনীর ডাগ আউটে থাকা ম্যানেজার নজরুল এতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানোয় লাল কার্ড পান।
পাঁচ মিনিট পর স্পট কিকে দিয়াবাতে বল জালে পাঠালেও রেফারি বাঁশি বাজানোর আগে খেলোয়াড়রা ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। রেফারি আবারো পেনাল্টি ইইক নেয়ার নির্দেশ দেন। দিয়াবাতে জালে বল জড়াতে মোটেও ভুল করেননি।