২০১৯ বিশ্বকাপে চ্যালেঞ্জ নিয়েই তিনে ব্যাটে করেছিলেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাজ্যের সেই আসরটিতে দুই সেঞ্চুরি ও পাঁচ ফিফটিতে ৮ ম্যাচে ৬০৬ রান করেন টাইগার অলরাউন্ডার। এরপর নানা কারণে নানা সময় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন হয়েছিল সাকিবের। চলতি বিপিএলেও চোখের সমস্যায় ব্যাটে হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না। ব্যাটে নেমেছিলেন বেশ কয়েকটি পজিশনে। তবে সেই তিনে নেমেই ভাগ্য বদলালেন টাইগার কিংবদন্তি। মিরপুরে ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন ঝলক, বল হাতে ছিলেন চিরচেনা রূপেই। তার অলরাউন্ড নৈপুন্যে ঢাকাকে বড় ব্যাবধানে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স।
চোখের চিকিৎসা করাতে চলতি বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলেই সিঙ্গাপুরে যান সাকিব। সিলেট পর্ব দিয়ে আবার মাঠে ফেরেন। ব্যাট করতে সমস্যা হওয়ায় ফেরার ম্যাচে ব্যাটও করেননি। পরের ম্যাচগুলোতে মাঠে নামলেও রান পাননি উল্লেখযোগ্য। তবে ঢাকায় ফিরে একটি চার ও তিনটি ছক্কায় ২০ বলে ৩৪ রান করেন সাকিব। পাশাপাশি বল হাতে ৪ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
তিন নম্বরে ব্যাটে নেমে সাকিব উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন। আর নিজেই নাকি এই পজিশনে ব্যাট করতে চেয়েছেন সাকিব। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রংপুর অধিনায়ক জানিয়েছেন এমনটাই। বলেছেন, ‘সাকিব ভাই নিজেই তিনে ব্যাটিং করতে চাচ্ছিলেন। চাচ্ছিলেন একটু সময় নিয়ে ব্যাটিং করতে, শেষ দিন অনুশীলনের সময় তিনি বলেছেন তিনে ব্যাটিং করলে ভালো হবে, আমার কাছে মনে হয় পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে এই সাপোর্ট দিয়েছে।’
ধকল সামলে সাকিবের এভাবে ফিরে আসা নিজেদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন সোহানরা। রংপুর অধিনায়ক বলেছেন, ‘সাকিব ভাই যেভাবে দলের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, নিজের প্রতি নিবেদিত ছিলেন, আমার কাছে মনে হয় এটা সবচেয়ে বড় জিনিস। তিনি যেভাবে চেষ্টা করতেছিলেন, ভালো খেলছেন। দেখেন এই সময়ে এসে আমার কাছে হয়, সাকিব ভাইয়ের পাওয়ার কিছু নেই এখান থেকে। অনেক কিছু পাইছেন, উনি যেভাবে নিজেকে তৈরি করার জন্য চেষ্টা করতেছিলেন, ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন বলেন, সবকিছু মিলিয়ে আপনারা জানেন উনি সংগ্রাম করতেছিলেন কিছু কারণে। ফিরে আসার জন্য যেভাবে চেষ্টা করতেছিলেন, এটা আমাদের কাছে অনেক বেশি অনুপ্রেরণার।’
সাকিবের ফিরে আসার পথে টিম ম্যানেজমেন্টের অনেক বেশি সাপোর্ট ছিল বলে জানিয়েছেন সোহান। বলেছেন, ‘পুরো টিম ম্যানেজমেন্ট উনাকে সমর্থন করছে এবং উনি নিজে থেকে অনেক বেশি চেষ্টা করতেছেন যেটা আমি বললাম। আমরা কাছ থেকে দেখতেছি, সে কতটা চেষ্টা করতেছে, জায়গাটায় ফেরার জন্য। এ রকম একটা ইনজুরিতে থাকলে বা প্লেয়ার যখন স্ট্রাগল পিরিয়ডে থাকে তখন অনেক বেশি মোটিভেশন দরকার হয়। ঐ জায়গা থেকে মনে হয় টিম ম্যানেজমেন্টের পুরো সাপোর্ট তার সাথে রয়েছে।’