চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

হৃদয় ঝড়ে সিলেটের দুই শতাধিক রানের পুঁজি  

টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স টানা তিন ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্টে রয়েছে। প্রতিপক্ষ ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষেও জয়ের ধারা বজায় রাখতে আগে ব্যাট করে সংগ্রহ করেছে ৮ উইকেটে ২০১ রান। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বাধিক দলীয় স্কোর। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা তৌহিদ হৃদয় ৪৬ বলে ১৮২.৬০ স্ট্রাইক রেটে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

খানিক পর ২০২ রানের বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামবে ঢাকা ডমিনেটর্স।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

মঙ্গলবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে হওয়া বিপিএলের দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেট প্রথম ওভার থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলার ধরন বেছে নেয়। বোলিং ওপেন করা ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন দেন ১১ রান।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে উইকেট পান ১৪১ কি.মি. গতিতে বল ছোড়া তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তানি ওপেনার মোহাম্মাদ হারিস ৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ঢাকার দলীয় রান তখন ১৭।

পেসার আল আমিন হোসেনকে তৃতীয় ওভারে বোলিং আক্রমণে আনা হয়। প্রথম বলেই পেতে পারতেন উইকেট। ফ্লিক শট খেলেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি মুক্তার আলী। উল্টো আঙুলে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যান।

ব্যক্তিগত ৯ জীবন পাওয়া শান্ত ব্যাট হাতে আগ্রাসী হতে থাকেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে সিলেটের স্কোর দাঁড়ায় এক উইকেটে ৫০ রান।

৩৪ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। আল আমিনের বলে আহমেদ শেহজাদের তালুবন্দি হওয়ার আগে সিলেটের ওপেনার ৩৯ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৭ রান করেন।

শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে ঝড় তোলেন হৃদয়। ৩২ বলে তুলে নেন আসরের টানা তৃতীয় ফিফটি। এর খানিক পর ১০ রান করে আরিফুল হকের বলে আউট হন জাকির হাসান। বিপিএলে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকুর রহিম ৬ রান করে আরাফাত সানির বলে নাসিরের হাতে ধরা পড়েন।

ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন থিসারা পেরেরা। ৭ বলে ২ চারে ১১ রান করে তাসকিনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন। পেরেরাকে দ্রুতই অনুসরণ করে মাঠ ছাড়েন ইমাদ ওয়াসিম।

হৃদয় আক্রমণাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান। শেষ ওভারে আউট হলেও টর্নেডো ইনিংস খেলে কাজের কাজটি করতে ভুল করেননি। আল আমিনের করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ৬ রান করে রান আউট হন আকবর আলী। ৩ বলে এক চারে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন মাশরাফী।

ঢাকার পক্ষে সর্বাধিক ৩ উইকেট পেলেও খরুচে আল আমিন দেন ৪৫ রান। তাসকিন নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পকেটে পুরেন সানি ও আফিফুল।