ম্যাচ শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে শীতের কুয়াশা ভেদ করে রোদের দেখা মিলল শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। বেলুন উড়িয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) নবম আসরের উদ্বোধন করলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। দুই দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে হাতও মেলালেন। হাজার পাঁচেক দর্শক মাঠে উপস্থিত। তবে টি-টুয়েন্টির চাহিদা অনুযায়ী মাঠের খেলাটা উপভোগ্য হল না।
মিরপুরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে একশ রানও তুলতে পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ৮৯ রান তুলেছে শুভাগত হোমের দল। সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২৫ বলের ইনিংসে তিনটি চার মারেন এ বাঁহাতি।
আট মাস পর ম্যাচ খেলতে নামা সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ভালো বোলিং করেছেন। ইনিংসের প্রথম ওভারটি করেন তিনিই। প্রথম ৫টি বল ডট করেন। মেডেন ওভারও হয়ে যেত। ওভার থ্রো হওয়ায় একটি রান বেরিয়ে যায়। মাশরাফী ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন।
সবচেয়ে সফল বোলার সিলেটের রেজাউর রহমান রাজা। এ পেসার ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
সাদামাটা উদ্বোধনী আয়োজনের মতো মাঠের খেলাও ম্যাড়মেড়ে। ডিআরএস না থাকা নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়িয়েছে আরও কিছু প্রযুক্তি ছাড়াই। টিভি দর্শকদের কাছে খেলা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে ড্রোন, স্পাইক্যামের ব্যবহার নিয়মিত হলেও এবার সেটিও অনুপস্থিত। দায়সারা আয়োজনের মতোই হল মাঠের খেলার শুরুটা।