চট্টগ্রাম থেকে: বিপিএলে ডিআরএস না থাকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে এক দফা। এখন বিকল্প পদ্ধতি এডিআরএস-এর ব্যবহার নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তার মধ্যে এলবিডব্লিউর নতুন নিয়ম আরও প্রশ্নবিদ্ধ করেছে আয়োজকদের। শনিবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি এলবি’র ব্যাপারে নিজেদের গড়া নিয়মের কথা জানানো হয়েছে। সেটি আগে থেকে জানতেন না খেলোয়াড়দের অনেকেও।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের আকবর আলী চার ম্যাচেই খেলেছেন। তার কাছেও অজানা এ নিয়ম। রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সেই প্রসঙ্গে প্রশ্ন শুনে বললেন, ‘দেখুন আমরা তো জানি আইসিসির রুলস অনুযায়ী খেলা চলছে। এখন এর বাইরে, ক্যাপ্টেন্স মিটিংয়ে এটা নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে কিনা, এগুলো আসলে আমাদের জানার কথাও না। আমরা জানতাম যে বিপিএলে আন্তর্জাতিক নিয়মে খেলা হচ্ছে, আমাকে প্রশ্ন করলে মনে হয় না উত্তর দিতে পারব।’
শনিবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের ইনিংসের ১৪তম ওভারে ইফতেখার আহমেদের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন জাকের আলী। মাঠ আম্পায়ার আঙুল তুললে তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বারস্থ হন তিনি। রিপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যায় বল পিচ করেছিল আউট সাইড লেগ। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে আউটের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন তৃতীয় আম্পায়ারও।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, পিচিং জোন দেখার প্রযুক্তিতে বলের ৫০ শতাংশের বেশি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করলে তা পিচড আউটসাইড লেগ হিসেবে ধরা হয়। জাকের আলীর আউটের বেলায় বলের অন্তত ৯৯ শতাংশই লেগ স্টাম্পের বাইরে ছিল। আইসিসির নিয়মে তাই কোনোভাবেই আউট হন না জাকের। আউট দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
এই বিতর্কের মধ্যে নতুন ব্যাখ্যা দেয় বিসিবি। জানায়, টুর্নামেন্টের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী বলের যেকোনো হালকা অংশও পিচিং জোনে থাকলে তা পিচড ইন লাইন হিসেবে গণ্য করা হবে। এই নিয়মের কারণেই মাঠে আম্পায়ারের দেয়া জাকের আলীর আউট বহাল রাখেন টিভি আম্পায়ার। সাধারণত টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিয়মে পরিবর্তন এলে তা সংবাদমাধ্যমকেও জানানো হয়। কিন্তু সেটি সময়মতো না জানানোয় আম্পায়ারদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে একাধিকবার।