ব্রিটেনের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বরিস জনসনের পক্ষে ভোট পড়ে ২১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়ে ১৪৮টি। কনজারভেটিভ দলের ভেতরে ১৯২২ কমিটির সভাপতি স্যার গ্রাহাম ব্রেডি ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। কনজারভেটিভ দলের এমপিদের এক গোপন ব্যালটে জনসনের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।
বেশ কয়েকটি কারণে প্রধানমন্ত্রী জনসন চাপের মুখে ছিলেন, যার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে কোভিড লকডাউনের সময় ডাউনিং স্ট্রীটে বিধিনিষেধ ভেঙ্গে পার্টি করতে দেওয়া। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের তীব্র সংক্রমণ চলার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর ১০ নং ডাইনিং স্ট্রিটে পার্টি করেন বরিস জনসন। এ বছরের শুরুতে সেগুলো ফাঁস হয়ে যায়।
ওই সময় যুক্তরাজ্যের সকল নাগরিককে কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। সাধারণ মানুষদের ঘরে বন্দি রেখে পার্টি করায় বরিস জনসনের ওপর ক্ষুব্ধ হন পার্লামেন্ট সদস্যরা। তার পদত্যাগের দাবিতে আওয়াজ তোলেন অনেকে।
২০১৮ সালে ব্রেক্সিট ইস্যু নিয়ে অনাস্থা ভোটের মুখে পড়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তিনি সেই অনাস্থা ভোটে রক্ষা পান। কিন্তু পরের বছরই প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।
বরিস জনসনকে যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরাতে হত তাহলে তার বিরুদ্ধে অন্তত ১৮০টি ভোট দরকার। ২১১ ভোট পেয়ে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।
এই ফলাফলের সুবাদ আগামী এক বছর প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলের মধ্যে থেকে কোন ধরনের অনাস্থা প্রস্তাব আনা যাবে না।