ফ্রান্সের উবারভিলিয়ে শহরে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো বৈশাখী মেলা। আয়োজনের শুরুতেই দেশটিতে বড় হয়ে উঠা শিশু কিশোর সহ সবাইকে সাথে নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ণিল এই শোভাযাত্রায় সকলের সতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ যেন স্মরণ করিয়ে দেয় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উৎসব বর্ষবরণ উৎসব।
গত রবিবার (২১ মে) ফ্রান্সের স্থানীয় সময় দুপুর ৩টায় এই মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হলে স্থানীয়ভাবে বেড়ে উঠা শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে শুরু হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। বয়সভিত্তিক দুই বিভাগে মোট ৬০জন শিশুকিশোর এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র বাংলাদেশী বংশদ্ভুত শিশুকিশোরি অংশ নেয়নি, শহরে অন্যান্য জাতীগোষ্ঠীর সন্তানেরাও অংশ নেয়।
অফিসিয়াল আলোচনার শুরুতেই ছিলো সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ আলী দুলাল এবং সংগঠনের সভাপতি কিরণ্ময় মণ্ডলের সূচনা বক্তব্য। এই পর্বে বক্তব্য রাখেন উবারভিলিয়ে ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দের সভাপতি, কার্লোস সামেদু, উবারভিলিয়ের প্রাক্তন প্রথম সহকারী মেয়র অন্তনী দাগে, আঞ্চলিক নাট্য পরিষদ পরিচালক ম্যাডাম সেলি পাতে, ভিল দে মুজিক দু মন্ড পরিচালক কামেল আফ্রিদী, ম্যাডাম জিং ওয়াং, এন্ট্রোপলগ, উবারভিলিয়ে , লা ফন্স আনসুমী সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গিওম লাসকো।
পরবর্তীতে মঞ্চে এসে শুভেচ্ছা দিয়েছেন উবারভিলিয়ের সহকারী মেয়র ম্যাডাম সানড্রিন ডেজির, সহকারী মেয়র ম্যাডাম কউরতুম সাক্কো। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও যারা আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন উবারভিলিয়ে– পন্তার সংসদ সদস্য, ডমিনিক দনদ্রিয়ো, সেবাস্তিয়া লাশো, উবারভিলিয়ের সহকারী মেয়র মনিক বিতো, লেখক ভাষাবিদ সভাপতি উবারবাবেল মিশেল ফাগা, উবারভিলিয়ে মেরী আন্তর্জাতিক বিভাগ পরিচালক মন্ডলীর সদস্য হালফ হোপম্যান ফান্সের কমিউনিস্ট পার্টি উবারভিলিয়ে শহরের সাধারণ সম্পাদক হোজে।

বাংলাদেশ কমিউনিটি ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ড. অনাদী ভট্টাচার্য, সংগীতশিল্পী আরিফ রানা, কবি আবু জুবায়ের, শিক্ষক হাসনাত জাহান, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আশরাফুল ইসলাম, শাহীন আরমান চৌধুরী, উদয়ন বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া রিপন বিসিএফ সভাপতি এমডি নূর, গাজিপুর জেলা সমিতি সাধারণ সম্পাদক ও ইপিবি এর সভাপতি ফারুক খান, ইপিএস কমিউনিটি ফ্রান্সের সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান ইপিএস সহ সভাপতি জুয়েল ডি আর লেলিন, বাচিক শিল্পী মুহাম্মদ গোলাম মুর্শেদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ফ্রান্সের সংগঠন রাকিবুল ইসলাম, রাহুল চৌধুরী, যুব ইউনিকোড সাবেক সভাপতি রমেন্দ্র কুমার চন্দ, আইসা প্রেসিডেন্ট ওবাইদুল্লা কয়েস। গণমাধ্যমকর্মী ফেরদোউস রহমান আখঞ্জি, এনায়েত হোসেন সোহেল, লুৎফর রহমান বাবু, মোসাদ্দেক হোসেন সাইফুল, অনুপম বড়ুয়া টিপু, ইকবাল মাহমুদ জাফর, নাজমুল কবির, বাদল পাল, মাসুদ আহমেদ, চৌধুরী মারুফ অমিত সহ আরও অনেক।
আলোচনা পর্ব শেষে উদীচী পরিচালিত বাংলা ভাষা ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং উদীচী পরিবারের শিশু কিশোরদের গান, কবিতা, নৃত্য সহ উদীচীর শিল্পীদের পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয় ।
বর্ষবরণ আয়োজনে অনুষ্ঠান পরিকল্পনা এবং সংগীত পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি শিল্পী রোজী মজুমদার। যন্ত্রানুসঙ্গ নির্দেশনায় সংগঠনের সহ সভাপতি শিল্পী সাগর বড়ুয়া, সহযোগিতায় প্লাসিড শিপন রিবেরিও , নৃত্য পরিকল্পনায় ও নির্দেশনায় নৃত্য সম্পাদক জি এম শরিফুল ইসলাম, নৃত্য নির্দেশনায় সহযোগীতায় নৃত্যশিল্পী দেবশ্রী চট্টপাধ্যায় সুবর্ণা তালুকদার, নাট্য নির্দেশনায় প্রদীপ কুমার বড়ুয়া টিপু এবং দীপক নিকোলাস গোমাজ, শিশুদের নাট্য নির্দেশনায় রুমানা আফরোজ। আবৃত্তি নির্দেশনায় সহ সাধারণ সম্পাদক শম্পা বড়ুয়া।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলো সহ সাধারণ সম্পাদক শম্পা বড়ুয়া এবং সংগীত বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক সাইফুল ইসলাম। এছাড়া মঙ্গল শোভাযাত্রার ব্যাবস্থাপনায় ছিলো মঞ্চ, সাজসজ্জা ও অভ্যার্থনা বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক এলান খান চৌধুরী । শিশুদের চিত্রাংগন প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন উত্তম কর্মকার।
এছাড়াও আয়োজনে মঞ্চ সজ্জা এবং অনুষ্ঠান স্থান ব্যাবস্থাপনায় যাদের ভূমিকা ছিলো উপদেষ্টা রজত রায় রাজু, উপদেষ্টা সলিমুল্লাহ সিদ্দীকি রানা, উপদেষ্টা জহীর হোসেন ভুইয়া, সহ সভাপতি পলাশ বড়ুয়া, সহ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন হাওলাদার ,সহ সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম রায়হান, সংগঠন বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক সম্পাদক দুলাল চন্দ মিশেল, নাট্য বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক তপন দাস, তথ্য ও মিডিয়া বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক শুভাশীষ রায় শুভ, সদস্য নাসির উদ্দিন, সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন উদীচী ফ্রান্স সংসদ সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী দুলাল। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সভাপতি কিরন্ময় মণ্ডল ।