বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা বিরুদ্ধে কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ২২ মার্চ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শওকত মাহমুদকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব শওকত মাহমুদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে। বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানা গেছে, এর আগেও শওকত মাহমুদকে দলের শৃঙ্খলা বিরুদ্ধ কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগের কারণে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তখন তাকে প্রাথমিকভাবে সর্তক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও তিনি গত ১৬ মার্চ কলামিস্ট ফরহাদ মজহারের সঙ্গে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে রাজধানীর একটি হোটেলে কিছু রাজনীতিবিদ ও আমলাদের নিয়ে নৈশভোজের আয়োজন করেন যা বিএনপিকে তিনি জানাননি। এই কারণেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলের শুরতে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে সমাবেশ করায় শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিএনপি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তখন শওকত মাহমুদ বলেন, ব্যাখ্যা তলব করে আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। এ জন্য পাঁচ দিন সময় বেঁধে দিয়েছে। আমি যেহেতু দল করি, তাই বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যেই চিঠির লিখিত জবাব দেব।