সংবাদ সম্মেলনে আসার পর নেপালের কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুংয়ের দিকে প্রশ্ন গেল, তার দলের মেয়েরা কেমন খেলেছে? উত্তর আসে, তারা শতভাগ দিতে পারেনি, সামর্থ্যের ৬০ ভাগ দিয়েছে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটার পরেও কোচের এমন মন্তব্যে সবাই চমকেই যায়!
গুরুংয়ের দিকে সম্পূরক প্রশ্ন যায়, তার দল কেন শতভাগ দিয়ে খেলতে সক্ষম হয়নি। জবাবে আবারও কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের সিনথেটিক টার্ফের সমালোচনায় মুখর হলেন তিনি, ‘শক্ত টার্ফের জন্য তারা ৬০ ভাগ দিতে পেরেছে। ফাইনালে শতভাগ দিতে পারবে বলে আশা করি।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে পরাজয়ের জন্য নেপালের কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুং সেলাই করা বল বাদ দিয়ে সেলাই ছাড়া বল দিয়ে খেলাকে দায়ী করেছিলেন। এদিনও তার মুখ থেকে একই অভিযোগ এসেছে।
ভারতের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে গিয়েছিল নেপাল। ৪৮ মিনিটে গোলরক্ষক আনশিকার মারাত্মক ভুলের সুযোগে তারা সমতায় ফেরে। শুভাঙ্গি সিংয়ের সাথে বল দেয়া নেয়া করে ভারতের গোলরক্ষক কিক নেয়ার সময় তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আমিশা। বল তার পায়ে লেগে গোলমুখে থাকা অঞ্জলি চাঁদের হালকা টোকায় জালে জড়িয়ে যায়।
সেই গোলটিকে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে গুরুং বললেন, ‘এটা পাওয়ার পর দলের সবাই উজ্জীবিত ছিল। ম্যাচে ফিরে এসেছিল।’
ফাইনালে নেপালের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। যদিও শিরোপা লড়াইয়ে পা রাখতে বাংলাদেশের মেয়েদের ভুটানের বিপক্ষে অন্তত ড্র করতে হবে। স্বাগতিকদের নিয়ে তেমন মাথা ঘামাতে নারাজ নেপালের কোচ। উল্টো বললেন, ‘তারা কেমন খেলে আমরা জানি। বাংলাদেশ ভালো দল হলেও আমরা তাদের চেয়ে ভালো দল। সম্ভবত তারা ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে।’
এর আগে ভারতের কোচ মায়মল রকিকে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয় অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে খেলা এত ফুটবলার থাকার পরও কেনো এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্স। জবাবটা ছিল সোজাসাপ্টা, ‘সবাই নিজের সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করেছে। মেয়েরা উপরের স্তরে নাকি নিচের স্তরে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে এমন কথা আপনি বলতে পারেন না। আমরা সেভাবে পারফরম্যান্স মাঠে দেখাতে পারিনি।’