নেপালকে হারিয়ে আবারো বাংলাদেশের মেয়েরা শিরোপা জয়ের উৎসবে মেতেছে। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়া লাল-সবুজের দলে রীতিমতো আস্থার প্রাচীর হয়ে গোলপোস্টের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন রুপনা চাকমা। গোটা আসরে চার ম্যাচে মাত্র একটি গোল হজম করেছেন। টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জেতা ফুটবলারের পারফরম্যান্স বোঝাতে এ তথ্যটুকু মোটেও যথেষ্ট নয়।
লিগপর্বের খেলায় ভারতের বিপক্ষে দারুণ সব সেভ করে ম্যাচের সব আলো নিজের দিকে কেড়ে নেন বাংলাদেশি গোলরক্ষক। সাত মিনিটের মাথায় সুমতি কুমারীর নেয়া শট রুপনা যেভাবে পা দিয়ে ঠেকান, তাতে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজের সেই দারুণ সেভের কথাই মনে করিয়ে দিয়েছিল।
ফাইনালেও রুপনার পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। তিনটি সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার হাতে নিয়ে হাসিমুখে তুলেছেন ছবি, দিয়েছেন সাক্ষাৎকার।
রুপনাকে এখন অনেকেই বলছেন বাংলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এ ব্যাপারটা কেমন লাগে? এমন প্রশ্ন শুনে লাজুক হাসিমাখা মুখে তার জবাব, সে বিশ্বকাপে অনেক ভালো খেলেছে আর ভালো সেভ করেছে বিধায় আর্জেন্টিনা জিতে গেছে। আমি তার অনেক সুন্দর সুন্দর সেভ দেখেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল তার মতো এরকম সেভ করতে পারবো।
জাতীয় দল এবং বয়সভিত্তিক দল মিলিয়ে মোট তিনবার সেরা গোলরক্ষকের ট্রফি জিতলেন রুপনা। আনন্দের কথা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজকে সাফের সেরা গোলরক্ষক হয়েছি তাই আমার অনেক ভালো লাগছে। আমার চেষ্টা থাকবে আবার যেন ভবিষ্যতে সেরা গোলরক্ষক হতে পারি। এটাই আমার পরবর্তী লক্ষ্য।