চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

তুর্কমেনিস্তানকে গোলবন্যায় ভাসাল ইরান

হাসতির হ্যাটট্রিক

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে ইরানের নারী জাতীয় দল রয়েছে ৬৮তম স্থানে। তাদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে তুর্কমেনিস্তান, ১৩৭তম স্থানে আছে। বয়সভিত্তিক আসরেও দুদলের ব্যবধানটা বড়, সেটিই যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল ইরান। ‘এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ-২০২৪’র বাছাইপর্বে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় জয় পেয়েছে ইরান, হ্যাটট্রিক করেছেন হাসতি।

বুধবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে এইচ গ্রুপের ম্যাচে তৃতীয় মিনিটে বক্সের ভেতর থাকা ইরানের নেগিন জানদি বল জালে জড়ালেও অফসাইডে তা বাতিল হয়।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

ষষ্ঠ মিনিটে জানদির পাসে বল পেয়ে সারা দিদারের ডান পায়ের শট ঝাঁপিয়ে গ্লাভসবন্দি করেন তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষক আমারবেরদিয়েভা আয়েশা।

মিনিট তিনেক পর বক্সের কাছে ফ্রি-কিক পায় ইরান। স্ট্রাইকার জানদির ডান পায়ের নিখুঁত শট দক্ষতার সঙ্গে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আয়েশা। ইরান গোলের সুবর্ণ সুযোগ ১৯ মিনিটে হাতছাড়া করে। অধিনায়ক মোহাদ্দেশেহ জোলফির শট পোস্টের খানিকটা উপর দিয়ে চলে যায়।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে রউজিন তামরিয়ানের কিক পোস্টের উপরের অংশে লেগে বাইরে গেলে গোলবঞ্চিত থাকে ইরান।

দুই মিনিট পর ভাঙে ডেডলক। ফাতেমা পাসানদিদেহর বাড়ানো বল নেন হাসতি ফরুজানদেহ। তার থেকে বল নিয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়ে ডান পাশে মাটি গড়ানো শটে লক্ষ্যভেদ করে ইরানকে এগিয়ে দেন জোলফি।

এরপর বদলি খেলোয়াড় রাহিল জাফারির নেয়া কর্নার কিক থেকে পাওয়া বলে হেড করেন হাসতি। দারুণভাবে তা প্রতিহত করেন আয়েশা। তুর্কমেনিস্তান অবশ্য বেশিক্ষণ জাল বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি। প্রতিপক্ষের ভুল পাসের সুযোগে বল পাওয়া জাফারির শট পোস্টের বাঁ-পাশের বারে লেগে জালে প্রবেশ করে।

আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকা ইরানের মেয়েরা ৪২ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পায়। হাসতির নেয়া শট বক্সের ভেতর বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হন তুর্কমেনিস্তানের এক ডিফেন্ডার। সেই সুযোগে বল নিয়ে নিশানাভেদ করে জোড়া গোল তোলেন জোলফি।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জোলফির অ্যাসিস্টে বল আদায় করে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে হাসতি লক্ষ্যভেদ করেন।

বিরতির আগ মুহূর্তে ইরান আরেকটি গোল পেতে পারতো। ফ্রি-কিক থেকে হাসতির দূরপাল্লার শট পোস্টের উপরে লেগে ফিরে আসার পর কিক নেন বদলি স্ট্রাইকার নাস্তারান মোহাম্মাদখানি। ৪-০ ব্যবধানে লিড নিয়ে ইরানিরা ড্রেসিংরুমে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইরান পঞ্চম গোলটি পেয়ে যায়। ৪৮ মিনিটে ডিফেন্ডার কিমিয়া রাহিমিনিয়ার দূরপাল্লার কিকে বোকা বনে যায় তুর্কমেনিস্তান গোলরক্ষক। একপেশে খেলার ৬৭ মিনিটে পেনাল্টি কিক থেকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন হাসতি।

ম্যাচের ৭৩ মিনিটে জোলফির নেয়া শট আয়েশা প্রতিহত করেন। এতে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন ইরান অধিনায়ক। তুর্কমেনিস্তান ৭৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠাতে সক্ষম হয়। হাইপোভা লালের পাসে বল পেয়ে ডানপ্রান্ত থেকে অনেকটা এগিয়ে এসে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের কিকে গোল করেন মিডফিল্ডার মিনগাজোভা কামিলা।

যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হাসতি দূরপাল্লার শটে নিশানাভেদ করে পূরণ করেন হ্যাটট্রিক। তুর্কমেনিস্তানের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ফলে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে মারিয়াম জাহান্নেজাতির শিষ্যরা।

শুক্রবার বাংলাদেশ প্রথম মাঠে নামবে, তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। ১২ মার্চ বাংলাদেশ-ইরান খেলা দিয়ে শেষ হবে আসর।