বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজে এবং যথাযোগ্য মর্যাদায় বার্লিনে উদ্যাপিত হলো মহান বিজয় দিবস-২০২২ ।
দুই দিনব্যাপী এই উদযাপনের প্রথম দিন ১৬ই ডিসেম্বর সকালে জার্মানির বার্লিনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। এ সময় মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মো মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, এনডিসি এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।
এরপর সকলকে সাথে নিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপনের দ্বিতীয় দিনে ১৭ ডিসেম্বর সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গনে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জাতীয় সঙ্গীতের সাথে অনুষ্ঠান সূচনা করার পর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বিশেষ ভিডিও চিত্রে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলের রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং মুক্তিযুদ্ধে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকার পাশাপাশি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে উপস্থাপন করা হয়।
আগত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সদস্যবৃন্দ মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর বিশেষ আলোচনা পর্বে অংশ নেন। মহান বিজয় দিবস-২০২২ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের জন্য তারা দূতাবাসের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং মহান বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ সমর্থনে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য নেতৃত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে তাঁদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। বাঙালির মুক্তিসংগ্রাম ও বিজয়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আলোচনার পাশাপাশি তিনি প্রবাসীদের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এরপর একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় যেখানে বার্লিন ও মিউনিখ থেকে আগত প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্পীবৃন্দ দেশের গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
সবশেষে অনুষ্ঠানে যোগদানকৃত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। আগত অতিথিদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়।