বিয়ারের বোতলে মেসি, বিনামূল্যে পাচ্ছেন আর্জেন্টাইনরা
কাতার বিশ্বকাপে বিয়ার নিয়ে কত কাণ্ডই না হল! বিয়ার ইস্যুতে কাতারি কর্তৃপক্ষ শুরুতে শিথিল থাকলেও বিশ্বকাপ দামামা বাজার আগমুহূর্তেই পাল্টে ফেলে বোল। মাঠের ভেতর নিষিদ্ধ হয় বিয়ার। তাতে বিদেশি দর্শকরা ‘হায় হায়’ রব ওঠালেও ক্ষতিটা আখেরে হয়েছে বিয়ার প্রস্তুতকারী কোম্পানি বুডওয়েজারের।
স্টেডিয়ামে বিয়ার কেন নিষিদ্ধ—ইউরোপিয়ানদের এমন সমালোচনায় বিদ্ধ হলেও সিদ্ধান্তে অটল ছিল বিশ্বকাপ আয়োজক কর্তৃপক্ষ। ফিফাও সূর মিলিয়েছিল আয়োজকদের পক্ষে। ক্ষতিটা তাই বিশাল অঙ্কের দেখেছে বুডওয়েজার। পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ না আসলেও আমেরিকান কোম্পানিটি কথা দিয়েছিল বিশ্বকাপজয়ীদের বিলিয়ে দেবেন কাতারে বেঁচে যাওয়া বিয়ার ক্যানগুলো।
কথা রাখতে চলছে বুডওয়েজার। স্নায়ুচাপী ৬ গোলের রাতে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা তুলেছে আর্জেন্টিনা। হাজার হাজার বোতল বিয়ারও চলে গেছে চ্যাম্পিয়নদের দেশে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি লিওনেল মেসির ছবি লাগিয়ে ক্যানকে আরও সুন্দর করে তুলেছে। ইতিমধ্যে বিয়ারগুলো বিতরণ করতে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন রাস্তায় অস্থায়ী দোকানও খুলেছে বুডওয়েজার। চালু হয়েছে হ্যাশট্যাগ ব্রিং হোম দ্য বার্ড ক্যাম্পেইন।
চ্যাম্পিয়ন দেশে সাড়াও মিলেছে বেশ। তবে বিনামূল্যে বিয়ার নিতে হলে প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে দেশটির নাগরিকদের। প্রতিদিন ৪১০ মিলিলিটারের তিনটি করে বোতল পাবেন একেকজন। ফিফার অন্যতম স্পন্সর কোম্পানিটি সবশেষ টুইটে জানিয়েছে, ‘নতুন দিনে নতুন টুইট। চ্যাম্পিয়ন দেশটি বিয়ার পাচ্ছেন। কে কে নিবেন?’

সবই কি তবে লসের খাতায় দেবে আমেরিকান কোম্পানিটি। আসলে না। স্টেডিয়ামে বিক্রি করতে কাতারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাইরে নির্দিষ্ট কিছু বুথে বিয়ার বিক্রির অনুমতি পেয়েছিল বুডওয়েজার। সেখান থেকে লাভের গুড় খাওয়া না হলেও ফিফার ঘাড় মাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। বিশাল অঙ্কের ক্ষতির প্রেক্ষিতে ফিফাকে ২০২৬ বিশ্বকাপে স্পন্সরশিপ বাবদ ৪০ মিলিয়ন, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৮৮ কোটি টাকা কম দেবে।