ভোট কারচুপি ও কেন্দ্র থেকে এজেন্টের বের করে দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-ঈদগাঁও-রামু) আসনের ঈগল প্রতীকের প্রার্থী ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। ভোট গ্রহণের দিন বেলা ২টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের ব্রিফিং করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে ভোট স্থগিত চেয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন দিয়েছেন।
আবেদনে তিনি, গুরুতর অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি ও কারচুপির কারণে ২৯৬, (কক্সবাজার-৩) আসনের চলমান নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করেন।
অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আসনের ১৬৭ কেন্দ্রেই অনিয়ম করা হয়েছে।
লিখিত আবেদন তিনি আরও লিখেন, সকাল ৮টা হতে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও আমার নির্বাচিনী এলাকা ২৯৬ (কক্সবাজার-৩) আসনে কক্সবাজার সদর, রামু, ঈদগাঁও উপজেলার সিংহভাগ কেন্দ্রে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। অন্যান্য কেন্দ্রসমূহের মধ্যে যারা প্রবেশ করেছিল তাদের নৌকার প্রার্থীর পেটুয়া বাহিনী জোরপূর্বক বের করে দেয়। সেইসাথে আমার সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। মৃত ও প্রবাসীদের ভোট জাল করে নৌকা প্রতীকে সীল মারা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন বিজিবি এবং নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সংস্থার লোকদের তাৎক্ষনিকভাবে অভিযোগ করা সত্ত্বেও তাদের বিন্দু পরিমাণ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।
তিনি আরো লিখেন, ইসলামপুর নাপিতখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পূর্ব নাপিতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর উত্তর খান ঘোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোদাইবাড়ী ওয়াহেদরপাড়া আছদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খুনিয়াপালংয়ের গোয়ালিয়া পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধেচুয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়সহ আরো অসংখ্য কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হয়েছে।
পরবর্তীতে এ অভিযোগ গুলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও ইউএনওসহ জেলা প্রশাসনকে অবহিত করি। তবে এ বিষয়ে আমি তাদের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা পাইনি। লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেছেন ১৬৭ কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ সম্ভব হয়নি। এরপরও অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেছেন। তাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট বর্জন করে পুনঃ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানকে ফোন করা হয়। রিং হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।