এক বছরেই সুইস ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশি নাগরিক এবং এ দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের ডলার সংকট এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। কেউ কেউ পাচার করা টাকাও হয়তো সরিয়ে নিয়েছেন।
বিবিসি বাংলা তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে: সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২২ সালে তাদের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
পরিসংখ্যান বলছে: সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংক বা সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। ২০২২ সালে বাংলাদেশিরা দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে জমা করেছেন ৫ কোটি ৫২ লাখ ৬৮ হাজার সুইস ফ্রাঁ। এক বছরে যা প্রায় ৮২ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ৯৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে গেছে।
২০২১ সালে যেখানে বাংলাদেশি আমানত ছিলে ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, ২০২২ সালের শেষে তা কমে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ কোটি ফ্রাঁতে। সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য। এক বছরে এতো বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করে বাংলাদেশিরা কী করেছে, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই প্রতিবেদনে।
তারা বলছে: ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ গিয়ে দাড়িয়েছে ৯৫.৭১ বিলিয়ন ইউএস ডলার। ৩ বছরে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন। বাংলাদেশের ব্যাংকের সূত্রে প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬১ ডলারের বেশি। মূলত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প যে বৈদেশিক ঋণ নির্ভর তারই প্রমাণ এটি।