চার পাণ্ডব না থাকার সিরিজে প্রথম ম্যাচেই ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ। হারারেতে দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচটি স্বাগতিকদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল সিরিজে ফেরার। বোলারদের পর লিটন দাসের ব্যাটিংয়ে উতরে গেছে টাইগাররা। ৭ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে নুরুল হাসানের দল।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ব্যাটিংয়ে মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে পরে জিম্বাবুয়ে। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলে রাজা-বার্লদের দল। জবাবে লিটনের ফিফটি এবং আফিফ-শান্তর ৫৫ রানের জুটিতে ১৫ বল থাকতেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
১৩৬ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে এদিনও ব্যর্থ হন ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। নাগ্রাভার বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৮ বলে করেছেন ৭ রান। তিনে নেমে এনামুল হকও এদিন হতাশ করেছেন। ১৫ বলে ১০৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৬ রান। তাকে মাসাকাদজার ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন সিকান্দার রাজা।
অপর পাশে, দারুণ ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন। উইলিয়ামসের শিকার হওয়ার আগে ড্যাশিং এই ওপেনার ৩৩ বলে করেছেন ৫৬ রান। ইনিংস সাজিয়েছেন ৬ চার ও দুই ছক্কায়।
দলীয় ৮১ রানে এনামুল ফিরলে বাকিটা পথ ফিফটি ছাড়ানো জুটিতে পেরিয়ে যান আফিফ হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। একটি করে চার ও ছক্কায় ২৮ বলে ৩০ রান করেন আফিফ। শান্ত অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ১৯ রানে।
এরআগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মোসাদ্দেকের তোপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। পরে রাজার ৫৩ বলে ৬২ রানের লড়াকু ইনিংসে ১৩৫ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক দল।
এদিন নতুন বল হাতে পেয়েই জ্বলে ওঠেন মোসাদ্দেক। আঘাত হানেন ইনিংসের প্রথম বলেই। শেষ বলেও তুলে নেন উইকেট। ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শুরু করা অফস্পিনার তুলে নেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ের শুরুর পাঁচ ব্যাটারকে সাজঘরে পাঠান।
৩১ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখান রাজা ও রায়ান বার্ল। ধ্বংসস্তূপ থেকে অসাধারণ জুটিতে লড়াইয়ে রাখেন স্বাগতিকদের। হাসান মাহমুদের বলে বার্ল (৩২) বোল্ড হলে ভাঙে ৮০ রানের জুটি। পরে রাজাও ফেরেন সাজঘরে। উইকেটটি নেন মোস্তাফিজুর রহমান।
আগের ১৯ ম্যাচে মোসাদ্দেকের নামের পাশে উইকেট ছিল সাতটি। সেই মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত বিস্ময় উপহার দিয়ে এক ম্যাচেই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুয়ে ব্যাটারদের বোকা বানিয়ে ২০ রানে শেষ করেন ৪ ওভারের কোটা।
অনিয়মিত বোলার মোসাদ্দেককে খেলতে শুরু থেকেই খুব সংগ্রাম করতে হয়েছে স্বাগতিক দলকে। এ অফস্পিনার একে একে সাজঘরে ফেরান রেগিস চাকাভা (০), ওয়েসলে মাধেভেরে (৪), ক্রেইগ আরভিন (১), শন উইলিয়ামস (৮) ও মিল্টন সুম্বাকে (৩)।
শুরুতেই হোঁচট খাওয়া জিম্বাবুয়ে প্রথম ১০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ৪৬ রান। পরের ১০ ওভারে খুব খারাপ করেনি। ৩ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান যোগ করে স্বাগতিকরা। লুক জঙ্গে ৫ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ম্যাচ জিম্বাবুয়ে এবং দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ জেতায় সিরিজের শেষ ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণীতে পরিণত হয়েছে। একই মাঠে ২ আগস্ট তৃতীয় টি-টুয়েন্টি খেলবে দুদল।