২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি জিম্বাবুয়ে। প্রথম তিন ওভারে দুই উইকেট নিয়ে স্বাগতিকদের চাপে ফেলেন দলে ফেরা হাসান মাহমুদ। টাইগার পেস তোপে ধুঁকতে থাকা স্বাগতিকদের তৃতীয় আঘাত দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। চতুর্থ উইকেটে মারুমানিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন সিকান্দার রাজা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২৯০ রান তোলে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১২ ওভারে ৪০ রান করেছে স্বাগতিকরা। ১২ বলে ৩ রানে অপরাজিত রাজা। ২৩ রান করে অপর পাশে সঙ্গ দিচ্ছেন মারুমানি।
রানতাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ওপেনার কাইতানোর উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইনোসেন্ট কাইয়া। দুজনকেই আউটসাইড এজে মুশফিকের গ্লাভসে জমিয়ে ফিরিয়েছেন হাসান মাহমুদ।
১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা জিম্বাবুয়ের তৃতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ১৪ রান। পরে ১৫ বলে ২ রান করা ওয়েসলি মাধেভেরেকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়ের ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। ফিফটি ছুঁয়ে অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই অপর ওপেনার এনামুল হক বিজয় রানআউটে কাটা পড়েন।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো লড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট জুটি ফিফটি ছোঁয়ার পর উইকেট বিলিয়ে দেন মি. ডিপেন্ডেবল। মাধেভেরের স্পিনে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা মানিওঙ্গার সহজ ক্যাচে পরিণত হন। ৩১ বলে ২৫ রানের ইনিংসে মুশফিক চার মারেন একটি।
ফিফটির আশা জাগিয়ে শান্ত ফেরেন ৩৮ রানে। দলীয় দেড়শর আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। ক্রিজে নতুন আসা মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ হোসেন হাল ধরেন। ৮১ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি লড়াকু সংগ্রহের পথে রাখে টাইগারদের।
দারুণ সব শটে রান রেট বাড়িয়ে দিয়ে আফিফ ৪১ বলে ৪১ করে সাজঘরে ফেরেন। ১২ বলে ১৫ রানে আউট হন মিরাজ। শেষটায় মাহমুদউল্লাহ খোলস ছেড়ে রান বাড়ান। তার অপরাজিত ৮০ রানে বাংলাদেশ যায় তিনশর কাছাকাছি।