এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
রানতাড়ায় প্রথম দুই ম্যাচে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। ভালো শুরু এনে দিতে পারেনি টাইগার টপঅর্ডার। মিডলঅর্ডার ব্যাটারদের অবদানে পাওয়া ১৬৫ রানই জিম্বাবুয়ের জন্য হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং। ৯১ রানে ৮ উইকেট হারানোর পর দশ নম্বর ব্যাটার ফারাজ আকরামের তাণ্ডবে অবশ্য উঁকি দিয়েছিল সফরকারীদের জয়ের আশাও। শেষপর্যন্ত সফল হতে না পারলেও হারের ব্যবধান অনেকটা কমায় তারা।
বাংলাদেশকে সহজে জিততে দেয়নি জিম্বাবুয়ে। সিরিজের তৃতীয় টি-টুয়েন্টিতে আসে ৯ রানের জয়। তাতে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ। শেষের দুটি ম্যাচ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আগামী ১০ ও ১২মে।
চট্টগ্রামেই সিরিজ নিশ্চিত করা বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ। সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান ঢাকা পর্বে ফিরলে কাজটা অসম্ভব নয়।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জিম্বাবুয়ে উইকেট হারায় নিয়মিত বিরতিতে। ৯১ রানে ৮ উইকেট পড়ার পরও হাল ছাড়েনি তারা। ১০ নম্বরে নামা ফারাজ ১৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। নবম উইকেট জুটিতে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে খেলা জমিয়ে তোলেন।
১৭তম ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১৮ রান দিলে হারের শঙ্কাও উঁকি দেয়। শেষ ৩ ওভারে জিম্বাবুয়ের দরকার পড়ে ৩৬ রান। শেষঅবধি ব্যবধান থেকে যায় ৯ রানের। মাসাকাদজা ১৩ রান করেন।
জিম্বাবুয়ে ওপেনার মারুমানি ৩১ রান করেন। জোনাথন ক্যাম্পবেল ১০ বলে ২১ রান করেন দুটি করে চার ও ছয়ে। ১১ রান আসে ক্লিভ মাডান্ডের ব্যাট থেকে। বাকি কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্ক।
বাংলাদেশের সব বোলারই উইকেট পেয়েছেন। বাদ যাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে নিয়ে ১ ওভারে ১ রানে নেন একটি উইকেট। তাসকিন আহমেদ, তানভির ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিবও নেন একটি করে উইকেট। তিনটি নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন নেন দুটি উইকেট।
২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান তোলে জিম্বাবুয়ে। সফরে অতিথিদের এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
বাংলাদেশের শুরুর অংশের স্কোর ছিল হতাশ করার মতো! রানের ঘাটতি মিটিয়ে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন দুই তরুণ ব্যাটার তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলী অনিক। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৫৭ বলে বলে ৮৭ রান যোগ করে এনে দিয়েছেন দেড়শ পেরোনো পুঁজি।
সিরিজজুড়ে ধারাবাহিক হৃদয় ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে বোল্ড হন ১৯তম ওভারে। দুবল পর জাকেরকে বোল্ড করেন এ পেসার। ৩৪ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার মিডলঅর্ডার ব্যাটার।