চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Nagod

যেখানে আফিফের কিছু করার নেই, কিছু বলারও নেই

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। ৭ রানের জয়ে মিলেছে খানিকটা স্বস্তি। ৫৫ বলে ৭৭ রানের অসাধারণ এক অপরাজিত ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছিলেন আফিফ। অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি দিয়েছেন ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে।

ইনিংসটি খেলার পথে অবশ্য দুবার জীবন পেয়েছেন আফিফ। প্রথমে ২ রানে থাকার সময়, পরে ৬১ রানে থাকতে তার ক্যাচ নিতে পারেননি স্বাগতিক ফিল্ডার। দিন শেষে যা হয়ে দাঁড়ায় টার্নিং পয়েন্ট।

ম্যাচসেরা আফিফের দিকে জীবন পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন গেছে। জবাবও দিয়েছেন সোজাসাপ্টা, ‘দুইটা জীবন পাওয়ার কথা যেটা বললেন, ওইটা খেলার অংশ। ফিল্ডাররা মিস করেছে। আমার তো কিছু করার নেই। এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই।’

শুরুর দিকে ব্যাটিং করা কঠিন ছিল, বলছেন আফিফ, ‘আমাদের সবসময় গেম প্ল্যান থাকে উইকেট পড়ে গেলেও স্ট্রাইক রেট আর বাউন্ডারির জন্য খেলা। আমার মনে হয় না ভিন্ন কিছু হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী করার চেষ্টা করেছি। শেষদিকে মনে হয় উইকেট অনুযায়ী রানটা ঠিক ছিল।’

শেষদিকে আফিফ-সোহান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে ম্যাচজয়ী জুটিটা গড়লেও শুরুর ব্যাটারদের ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। ৭৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেও পড়েছিল বাংলাদেশ। দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং নাকি উইকেটে রান করা কষ্টকর ছিল?

২৩ বর্ষী আফিফের উত্তর, ‘প্রথমে উইকেটটা একটু কঠিন ছিল। বল গ্রিপ করছিল। আমাদের টপ অর্ডার রান করতে পারেনি। পরের ম্যাচে করবে। এটা কোনো সমস্যা না। যখন ব্যাটিং করেছিলাম, আস্তে আস্তে উইকেটটা ভালো হচ্ছিল দেখেই আরও ভালো ব্যাটিং করতে পেরেছি।’

‘আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল যে, যদি উইকেটে শেষ পর্যন্ত দুইজন থাকতে পারি, আমরা দলের জন্য একটা ভালো স্কোর নিয়ে যেতে পারব। আমাদের দুইজনের মধ্যেই বিশ্বাস ছিল।’

‘উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, তাকে আমাদের বোলারদের যেমন স্কিল তাতে ওই অনুযায়ী বল করতে পারলে বিশ্বাস ছিল যে এই রানটা নিরাপদ।’

বিশ্বকাপ এবং ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য টিম কম্বিনেশনটা এখনো ঠিকঠাক সাজাতে পারেনি লাল-সবুজের দল। ওপেনিংয়ে আবারও ব্যর্থ সাব্বির। তিনে ভালো সূচনা পেলেও ৩ চারে ১৩ রানেই আউট লিটন। ইয়াসির-মোসাদ্দেক হতাশ করেছেন।

বল হাতে ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়েছেন সাইফউদ্দিন। শেষ ওভারে আমিরাতের যখন ১১ দরকার, ফিল্ডাররা ছেড়েছেন সহজ ক্যাচ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকা পেসার শরিফুল পরপর দুই বলে ২ উইকেট পেলে বিপদ ঘটেনি। চেনাছন্দে নেই মোস্তাফিজ। ২ উইকেট পেলেও বিশ্বকাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজে তার বোলিং কতটা কার্যকর হবে জাগছে প্রশ্ন।

টিম কম্বিনেশন নিয়ে আফিফ বললেন, ‘আমরা সব ম্যাচেই সেরা কম্বিনেশন নিয়ে নামার চেষ্টা করি। কোনদিন সাফল্য আসে, কোনদিন আসে না। আজ ম্যাচটা জিতেছি, অবশ্যই ভালো লাগছে। পরেরবার যে কম্বিনেশনেই নামি না কেনো, সবাই ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’

বিজ্ঞাপন

Nil Joler Kabbo
Bellow Post-Green View