হারতে বসা ম্যাচে কোনোমতে ড্র করে মাঠ ছাড়তে পেরেছে বাংলাদেশ। অথচ প্রতিপক্ষ নেপালের সঙ্গে জয়ের আশাতেই স্বাগতিকরা মাঠে নেমেছিল। খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব, পাসিং ফুটবল না খেলে শট নেয়ার প্রবণতা ছিল সুস্পষ্ট। অপরিপক্ক ফুটবল খেলার খেসারত দিয়ে ১-১ গোলে ড্রয়ের কারণ হিসেবে অদ্ভুত যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফুটবলারদের পারফরম্যান্স নিয়ে ছোটন বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে মনে হয়েছে শারীরিকভাবে তাদের রিকভারি হয়নি। মনে হয়েছে ক্লান্ত ছিল। সিনিয়র পর্যায় থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক সব টুর্নামেন্টেই আমরা যদি দেখি দল শুরু থেকেই পজিটিভ ফুটবল খেলেছি। আজকে মনে হয়েছে কিছু খেলোয়াড়ের রিকভারি হয়নি।’
মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আজকের আগে সবশেষ গত ২৪ মার্চ ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সূচি অনুযায়ী তিনদিনের বিরতি পাওয়ার পর নেপালের বিপক্ষে লাল-সবুজের দল খেলতে নামে। অথচ রাশিয়ার বিপক্ষে গত ২৬ মার্চ খেলতে নেমেছিল নেপাল। মাঝে দলটি একদিনের বিরতি পেলেও তাদের খেলায় ছিল না বিন্দুমাত্র ক্লান্তির ছাপ। বরং উজ্জীবিত ফুটবল খেলার চেষ্টাই নেপালের মেয়েদের মধ্যে দেখা গেছে। ফলে বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের রিকভারি না হওয়া নিয়ে ছোটনের যুক্তিকে বেশ অদ্ভুত মনে হয়েছে।
খেলার শুরু থেকে বাংলাদেশের মেয়েরা যে ভালো ফুটবল খেলেনি, সেটি অবশ্য স্বীকার করেন ছোটন। বললেন, ‘প্রথমে শুরু করেছে বাজেভাবে। ধীরে ধীরে ম্যাচের সাথে মানিয়ে নিয়েছে। সুযোগ এসেছিল, ফিনিশিং বেটার হলে আরও গোল হতে পারতো।’

নুসরাত জাহান মিতু ম্যাচের শুরু থেকে মাঠে থাকলেও তার পারফরম্যান্স ছিল বিবর্ণ। কোনো কোনো সময় মনে হয়েছে মাঠে তার উপস্থিতিই ছিল না। যদিও কোচের সমর্থন তিনি ঠিকই পাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোচের মতে, তার গোল সামর্থ্য ভালোই রয়েছে। সে আসলে আজ ভালো করেনি।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা মেয়েরা সাফের অনূর্ধ্ব-১৫ তে খেলেছিল। এসব খেলোয়াড়দের মোটেও তাই অনভিজ্ঞ বলা যাবে না। বক্সের ভেতর গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে বাইরে থেকে চেষ্টা করার মানসিকতা আগে লক্ষ্য করা গেলেও নেপালের বিপক্ষে তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ছোটন অবশ্য বিষয়টি মানতে নারাজ।
‘প্রথম থেকেই তারা ধরে খেলার চেষ্টা করেছে। ২০ মিনিট পর খেলা নিজেদের আয়ত্তেই নিয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে পুরো খেলায় প্রাধান্য বিস্তার করেছে। সুযোগও তৈরি করেছে। স্কোর হয়নি।’