মেয়েদের অনূর্ধ্ব-১৭ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে কৌশল এবং ফরমেশনে পরিবর্তন থাকবে- এ কথা আগেই জানিয়েছিলেন গোলাম রব্বানি ছোটন। লাল-সবুজের দল ৪-২-৪ ফরমেশনে টিম ইন্ডিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামে। তাতে দেখা গেল জয়ের মুখ। আখিলা রাজন হেডে বল নিজেদের জালে জড়িয়ে দেয়ায় ১-০ ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
শুক্রবার দুপুরে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচে শুরুর একাদশে চারটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। রাশিয়ার বিপক্ষে খেলা কানন আক্তার, ঋতু আক্তার, থুইনুই মারমা এবং তৃষ্ণা রানি বেঞ্চে ছিলেন। মাঠে নেমেছিলেন পূজা দাস, মোসাম্মৎ সাগরিকা, নাদিয়া আক্তার ও সুলতানা আক্তার।
পঞ্চম মিনিটেই লিড পেতে পারতো স্বাগতিকরা। ডি বক্সের ভেতর পূজার ক্রসে বল আদায়ে ব্যর্থ হন সুরভী আকন্দ প্রীতি। তার পেছনে থাকা সুলতানা বল পেয়ে দুর্বল শট নেয়ায় তা পোস্টের কাছ দিয়ে বেরিয়ে যায়।
১৬ মিনিটের মাথায় ভারতের সতীর্থের লম্বা শটে রুমা আক্তারের ক্লিয়ারে ব্যর্থতার সুযোগে বল পান প্রতিপক্ষের ফুটবলার পূজা। বাংলাদেশের গোলরক্ষক সামনে বেরিয়ে এলে পোস্ট ফাঁকা হয়ে পড়ে। পূজার শটে সামান্যর জন্য বল জালের দেখা পায়নি।

সাত মিনিট পর সাগরিকা ডি বক্সে ঢুকে গেলেও ভারতের গোলরক্ষক খুশি কুমারী দ্রুততার সঙ্গে বল গ্লাভসে নেন।
বক্সের বেশ বারে থেকে খেলার ২৭ মিনিটে কিক নেন কানন রানি বাহাদুর। বল উপরের জালে জড়ালে সেই যাত্রায় ডেডলক ভাঙেনি।
মিনিট চারের পর ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণে ওঠেন সাগরিকা। তার পাসে বল পেলেও ভারতের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করতে পারেননি পূজা। রিবাউন্ডে বল নেন নুসরাত জাহাত মিতুর নেয়া কিক ভারতের গোলরক্ষক দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল ধরেন।
৪০ মিনিটে আসে জোড়া সুযোগ। রিতার শট খুশি ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ধরেন। খানিক পর প্রীতি ঠিকঠাক ফ্লিক করতে না পারায় বল পোস্টের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। গোলশুন্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুলতানার পরিবর্তে খেলতে নামেন তৃষ্ণা রানি।
৪৮ মিনিটে সঙ্গীতা রানি দাস দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিপক্ষের দুটি আক্রমণ বল লুফে নিয়ে নস্যাৎ করেন। গোল হজম থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পায়।
ছয় মিনিট পর জয়নব বিবি রিতার দুরন্ত ক্রসে সাগরিকা ঠিক মতো হেড করতে পারেননি। যার ফলে এগিয়ে যেতে পারেনি স্বাগতিকরা। খানিক পর সতীর্থের পাসে গোলমুখে পূজা এগিয়ে গেলে কর্নারের বিনিময়ে দলকে সঙ্গীতা বাংলাদেশকে রক্ষা করেন।
৬৪ মিনিটে শাহজির কোণাকুণি শট ধরেন সঙ্গীতা। চার মিনিট পর ললিতা বৈপালের শট পোস্টের বাইরে চলে যায়।
সাগরিকার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে এ সময় মাঠে নামেন থুইনুই মারমা।
নাদিয়া থ্রো ইন করার পর পূজার কাছ থেকে বল নিয়ে করেন ক্রস। ডি বক্সে থাকা আখিলা রাজন হেডে বল নিজেদের জালে জড়িয়ে দিলে লিড পায় বাংলাদেশ। ৭৪ মিনিটে মেলে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা।
৮৬ মিনিটে ভারত সমতায় ফেরার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। ফ্রি কিক থেকে বল রিসিভ করতে পারেননি পূজা। বল লুফে নেন সঙ্গীতা।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে শিবানি রানির শট দারুণভাবে শুয়ে পা দিয়ে সঙ্গীতা জয়ের কারিগর হয়ে ওঠেন। যোগ করা সময়ের চার মিনিট ভারতকে রুখে দেয়ায় জয়ের আনন্দে মাতে রুমা আক্তাররা।