টেস্টে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই। ২০০০ সালের নভেম্বরে ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় অভিষেকে খুব একটা খারাপ খেলেনি টিম টাইগার্স। যদিও হারতে হয়েছিল ৯ উইকেটে। পরের দশ টেস্টের পাঁচটিতে যখন ইনিংস ব্যবধানে হার ভারতের বিপক্ষ, তখন তো প্রথমটিকে ভালো বলাই যায়!
পরের তিন টেস্টে টানা ইনিংস ব্যবধানে হার সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশের। ২২ বছরে দু-দেশ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে মোটে ১১ বার। টাইগারদের ৯ হারের পাশে দুইবার ড্র হওয়ার ঘটনা বৃষ্টির কল্যাণে।
দুদলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রথম ড্রয়ের স্বাদ পায় ২০০৭ সালে, চট্টগ্রামে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন বৃষ্টিতে কোনো বল মাঠে গড়ায়নি। শেষ দিনের শেষ সেশনে বাংলাদেশকে ২৫০ রানের লক্ষ্য দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। জাভেদ ওমর বেলিমের অপরাজিত ফিফটিতে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান তোলার পর ড্র মেনে নেন দুই অধিনায়ক।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। নড়াইল এক্সপ্রেস প্রথম ইনিংসে চারটি, দ্বিতীয় ইনিংসে একটি উইকেট ছাড়াও ব্যাট হাতে ৭৯ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেছিলেন।
পরেরটি ২০১৫ সালে, ফতুল্লায়। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও একটি টেস্ট খেলতে আসে ভারত। একমাত্র টেস্টে অর্ধেকেরও বেশি সময় নষ্ট হয় বৃষ্টিতে। দুইশ ওভারও মাঠে খেলা গড়ায়নি।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৪০০, সর্বনিম্ন ৯১। অভিষেক টেস্টের দুটি ইনিংসে গড়া রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ আছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৬৮৭ রানের, সর্বনিম্ন সংগ্রহ ২৪৩।
৭ বছর পর ঘরের মাঠে টেস্টে ভারতের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর দুই টেস্টের সিরিজ শুরু হচ্ছে বুধবার। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খেলা শুরু সকাল সাড়ে ৯টায়। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।