মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন শতাধিক রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পরে তানজিম-সৌম্যদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২১ রানের জয় নিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে লাল-সবুজের দল।
মঙ্গলবার কলম্বোয় টসে জিতে ব্যাটে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেটে সংগ্রহ করে ৩০৮ রান। জবাবে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৭ রান সংগ্রহ করতে পারে আফগানিস্তান। রানরেটে এগিয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে সাইফ হাসানের দল।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে টাইগারদের পয়েন্ট ৪, রানরেট ১.২৬৩। দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমির দৌড়ে এখনও টিকে আছে আফগানিস্তান। সেক্ষেত্রে অপেক্ষা করতে হবে শ্রীলঙ্কা ও ওমানের ম্যাচের ফলাফল পর্যন্ত। ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওমান ২৭ রানের কম ব্যবধানে হারলে সেমিতে যাবে আফগান বাহিনী। ২৭ রানের বেশি ব্যবধানে শ্রীলঙ্কা জয় পেলে সেমিতে যাবে লঙ্কান দল। ওমানের বিপক্ষে বড় জয় পেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়নও হতে পারে তারা।
আগে ব্যাটে নেমে ভালোই করেছে বাংলাদেশ। ১১৪ বলে ১০০ করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ইনিংসে ১২টি চার ও ২ ছক্কা হাঁকান। ৭২ বলে ৬২ রান করেছেন জাকির হাসান। নাঈম শেখ রান না পেলেও এদিন রান পেয়েছেন সৌম্য সরকার। ৪২ বলে তিন চার ও তিন ছক্কায় ৪৮ রান করেন সৌম্য। নাঈম করেন ৯ বলে ৯ রান।
শেষদিকে শেখ মেহেদীর ঝড়ো ক্যামিওতে তিনশ পেরিয়ে সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। ৬ চার ও এক ছক্কায় ১৯ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেহেদী।
আফগানদের হয়ে মোহাম্মদ সালেম নেন চারটি উইকেট। ১০ ওভার বল করে ৬৫ রান খরচ করেন তিনি।
জবাবে নেমে ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ১২ বলে ১০ রান করা জুবায়েদ আকবরীকে ফেরান রাকিবুল হাসান। পরে মন্থর গতিতে রান তুলতে থাকে আফগান বাহিনী। ২৫.২ ওভারে ১১৬ রানে নূর আলী জাদরানকে ফেরান তানজীম হাসান সাকিব। ৫৭ বলে ৪৪ রান করেন জাদরান।
৩২.২ ওভারে ১৪৮ রানে রিয়াজ হাসানকে ফেরান সৌম্য সরকার। ১০৫ বলে ৭৮ রান করেন রিয়াজ। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুইশ রান পার করেন অধিনায়ক শহীদুল্লাহ ও বহির শাহ। ৪৭ বলে ৪৪ রান করে রাকীবুলের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন শহীদুল্লাহ। ৪১.৪ ওভারে ২১৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
বহির শাহ একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অপর প্রান্তে ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারায় দলটি। শেষঅবধি ৮ উইকেটে ২৮৭ রানে থামে আফগানদের ইনিংস। বহির শাহ অপরাজিত ছিলেন ৫০ বলে ৫৩ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ১০ ওভারে ৬৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। ১০ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সৌম্য সরকার। দুটি উইকেট নেন রাকিবুল হাসানও। ১০ ওভারে ৩০ রান খরচ করেন তিনি। এছাড়া ৯.৩০ ইকোনমিতে ৯৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন রিপন মণ্ডল।