কোপা আমেরিকা ও কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে জেতানো লিওনেল মেসি জিতে নিয়েছেন ব্যালন ডি’অর প্যারিসে জমকালো আয়োজনে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে আটবার ব্যালন ডি’অর জিতলেন এলএম টেন। পুরস্কার জয়ের পর নিজের আনন্দ ও প্রাপ্তির কথাই মঞ্চে বক্তৃতাকালে বললেন মহাতারকা।
‘আমার ক্যারিয়ারে আমি যা অর্জন করেছি, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। সাফল্য পেতে, আমার ভাগ্য সহায় ছিল। বিশ্বের সেরা ও ইতিহাসের সেরা দলে খেলে এতগুলো শিরোপা জয় করায় এই ব্যক্তিগত পুরস্কার জেতাকে সহজ করেছে। জাতীয় দলে অনেক কঠিন মুহূর্তের পর কোপা আমেরিকা জয়ের পর বিশ্বকাপ ট্রফিটা হাতে পেয়েছি।’
আর্জেন্টিনা ও ইন্টার মিয়ামির ফরোয়ার্ড শেষবারের মতো খেলে ফেলেছেন বিশ্বকাপ। গত বছর কাতারে হওয়া আসরে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়ে জিতেছিলেন গোল্ডেন বল। ভবিষ্যতে আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন, সেটি নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন ৩৬ বর্ষী মেসি।
‘আমি জানি না আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবো। তবে আমি খেলা উপভোগ করতে আগ্রহী। ইদানীং এটা নিয়ে অনেক বলেছি। আমি উপভোগ করতে চাই। যতক্ষণ আমি শারীরিকভাবে ফিট থাকব এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবো, খেলা চালিয়ে যাবো।’
অবসরের দিনক্ষণ নির্ধারণ না করার বিষয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার নিজস্ব অবস্থানও ব্যাখ্যা করেন। বললেন, ‘আমি কোন কিছুতে একটি সংখ্যা বের করতে পারি না। কারণ ফুটবল দিনে দিনে অনেক পরিবর্তন হয়। আশা করি ক্যারিয়ার দীর্ঘ সময়ের জন্য হবে। কারণ আমি খেলতে ভালোবাসি। তাই আমি চালিয়ে যেতে চাই।’
ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। চলতি বছর মেজর লিগ সকার ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে যোগ দেন মেসি। বয়স ও বাস্তবতার বিচারে এটি মহাতারকার শেষ ব্যালন ডি’অর জয় বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। এলএম টেন নিজেও হয়তো সেটি উপলব্ধি করছেন। তার কথায় সেটি সুস্পষ্টভাবেই ধরা পড়েছে।
‘আমি আরও একবার এখানে আসতে পেরে এবং এই মুহূর্তটি আরও একবার উপভোগ করতে পেরে আনন্দিত। বিশ্বকাপ জিততে এবং সত্যিকার অর্থে আমার স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হতে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের সাথে আমি পুরস্কারটি ভাগ করে নিতে চাই। এসব পুরস্কারগুলো বিশেষ। সবচেয়ে বিশেষ হলো দলীয় পুরস্কার। স্বীকৃতি পাওয়া সবসময়ই বিশেষ।’
আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার দশ মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও ঘুরে ফিরে মেসিকে সেই প্রসঙ্গে এখনো কথা বলতেই হয়। ব্যালন ডি’অর পুরস্কার হাতে নিয়েও সেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে ভিন্ন মুহূর্ত উপভোগ করা আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়াটা অসাধারণ ছিল। এই পুরস্কার পেয়ে আমি এখন খুব শান্ত বোধ করছি। আমার যে ক্যারিয়ার ছিল, তাতে শিরোপা ট্রফি পেতে এবং ফুটবলকে আমার মতো উপভোগ করতে সক্ষম হয়েছি।’