দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামী লীগ এই দুই দলের সমঝোতায়, জাতীয় পার্টির জন্য ২৬টি আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে ঢাকার কোনো আসন ছাড়া হবে না।
রোববার ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সাথে তাদের কথা হচ্ছে। তারা ক্ষুব্ধ হয়েছে বলে জানা নেই।
সূত্রে জানা গেছে, ২৬ আসনের মধ্যে রয়েছে, ঠাকুরগাঁও-৩, কিশোরগঞ্জ-৩, রংপুর-১, রংপুর-৩, নীলফামারী-৪, কুড়িগ্রাম-১, কুড়িগ্রাম-২, নারায়ণগঞ্জ-৫, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-২, সিলেট-৩, নীলফামারী-৩, বগুড়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, চট্টগ্রাম-৮, বগুড়া-২, সাতক্ষীরা-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫, পটুয়াখালী-১, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৮, পিরোজপুর-৩, হবিগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-১ এবং বরিশাল-৩।
এদিকে আজ বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টির বনানীর চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেসময় তারা বলেন, সিট ৪০টা হলে আমরা নির্বাচনে যাব। এর কম দিলে নির্বাচনে যাব না। এভাবে নির্বাচন হয় না। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা নির্বাচনে যাব না। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বেলা আড়াইটার দিকে শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী, জাপার বনানী কার্যালয়ের ভেতরে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ সিনিয়র নেতারা বৈঠক করছেন। আর বাইরে দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। নেতাকর্মীদের ভিড় দেখে কার্যালয়ে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।