সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম।
বুধবার ২১ জুন ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শুরু হয় বিকেল ৫টা থেকে।
ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এদিন সিলেট সিটিতে দু’হাজার ২৮০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন।
এছাড়াও মাঠে ছিলেন নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। ইসির নিজস্ব পর্যবেক্ষক টিম ঢাকায় নির্বাচন ভবনে মনিটরিং সেল থেকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেন।
এবার সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা), জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাহমুদুল হাসান (হাতপাখা) এবং জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম (গোলাপফুল) রয়েছেন। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন- মোহাম্মদ আবদুল হানিফ কুটু (ঘোড়া), মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন (ক্রিকেট ব্যাট), মো. শাহজাহান মিয়া (বাস গাড়ি) এবং স্বতন্ত্র মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা (হরিণ)।
সিলেট সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সিটিতে মোট ১৯০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন।