মেলবোর্নের ডকল্যান্ডস স্টেডিয়ামে হাজির ৪১,২০৫ জন দর্শক। ডার্বি ম্যাচের উত্তেজনাকেও ছাড়িয়ে গেল অ্যারন ফিঞ্চের বিদায়ী ম্যাচের উপলক্ষ। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন অজিদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ঘরোয়া লিগ বিগ ব্যাশ থেকেই পেশাদার ক্রিকেটকে জানালেন বিদায় দিলেন।
ব্যাট হাতে যখন ক্রিজে নামছিলেন, প্রতিপক্ষ মেলবোর্ন স্টারসের খেলোয়াড়রা সারিবদ্ধ হয়ে ফিঞ্চকে দিলেন গার্ড অব অনার। দুই ফিল্ড আম্পায়ারও তাতে শামিল হন।
মেলবোর্ন রেনেগেডসের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলতে নামা ফিঞ্চ তিন বলের বেশি খেলতে পারেননি। মিড অনে জাতীয় দলে তার সাবেক সতীর্থ গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে সহজ ক্যাচ ফিয়ে শূন্য রানে আউট হন। মেলবোর্ন স্টারসের অধিনায়ক ম্যাক্সওয়েল উদযাপনে বিরত ছিলেন। মাঠ ছাড়ার সময় গ্যালারির দর্শকরা দাঁড়িয়ে ৩৭ বর্ষী ক্রিকেটারকে বিদায়ী অভিবাদন জানান। হাততালিতে মুখরিত হয় গোটা স্টেডিয়াম। ব্যাট উঁচিয়ে ফিঞ্চ সকলের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
শূন্য রানে ফিরলেও জয়ের স্বাদ পেয়েই অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেট ছাড়লেন। মেলবোর্ন স্টারসের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জিতেছে তার দল মেলবোর্ন রেনেগেডস। শনিবার আগে ব্যাট করা স্টারস ৮ উইকেটে তোলে ১৩৭ রান। জবাবে রেনেগেডস শন মার্শের ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে ভর করে ১৬ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
ক্যারিয়ারে ফ্যাঞ্চাইজি লিগে বিভিন্ন দেশে একাধিক দলে খেললেও ফিঞ্চ বিগ ব্যাশ লিগে ছিলেন ব্যতিক্রম। ২০১১-১২ মৌসুমে তিনি মেলবোর্ন রেনেগেডসে যোগ দেন। নিজ দেশের ফ্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি কখনোই দল বদল করেননি। বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে ম্যাচসেরা শন মার্শ বলেন, তিনি সত্যিকারের এক কিংবদন্তি। প্রথম দিন থেকেই তিনি এখানকার একজন খেলোয়াড়। তার জন্য জয় পাওয়াটা দারুণ ছিল।
বিগ ব্যাশ থেকে অবসর গ্রহণের ফলে মেইনস্ট্রিম লিগগুলোতে আর না খেললেও লিজেন্ড টুর্নামেন্টগুলোতে খেলবেন ফিঞ্চ। আন্তর্জাতিক ও সবধরনের টি-টুয়েন্টি মিলিয়ে তিনি সপ্তম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ৩৩.৭০ গড়ে ১১,৪৫৮ রান করেছেন। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টিতে তার ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ১৭২ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন, যা বিশ্বরেকর্ড।
বিগ ব্যাশে ক্রিস লিনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ফিঞ্চ। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়াকে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক।