চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিশ্বকাপ ‘মাথায় রেখে’ এই পরাজয় মানতে রাজি রোহিত

গ্রুপপর্বের দুই ম্যাচ জিতে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছিল ভারত। তারপর থেকে যেন উল্টো অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচে টস হেরেছে, দুবারই আগে ব্যাট করেছে এবং শেষ ওভারের থ্রিলারে হেরেছে।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে বিষয়টি টিম ইন্ডিয়ার জন্য উদ্বেগের কিনা- সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অধিনায়ক রোহিত শর্মা অবশ্য খেলোয়াড়দের উপর পূর্ণ আস্থাই রাখছেন। একইসঙ্গে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের গুছিয়ে নেয়ার পাশাপাশি সেরা স্কোয়াড বাছাইয়ের জন্য হলেও আপাতত এই পরাজয় মানতে আপত্তি নেই বলছেন।

‘মনে করি না পারফরম্যান্সে কিছু ভুল আছে। বাইরে থেকে এমন মনে হলেও আমরা সেভাবে দেখছি না। অনেক প্রেস কনফারেন্সে ছিলাম। যখন হেরে যাবেন তখন এ ধরনের প্রশ্ন করা হবে, এটাই স্বাভাবিক। ড্রেসিংরুমে গিয়ে দেখতে পারেন, ছেলেরা সবাই ঠাণ্ডা মেজাজে ও স্বস্তিতে আছে। জিতুন বা না জিতুন, আমাদের পরিবেশটা এমনই থাকতে হবে।’

‘আমরা দলের পরিবেশটা সেভাবে তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। সব ছেলেই এতে খুশি। ড্রেসিংরুমের পরিবেশ ভালো থাকলে শেষ পর্যন্ত যে পারফরম্যান্স দেখবেন, তা মাঠেই ঘটবে।’

‘পরিবেশ ভালো রাখতে জয়-পরাজয়, পারফর্ম করতে পারা-না পারা নিয়ে ছেলেদের বিচার করা ঠিক না। এখানে যারাই আছেন, সবাই ভালো পারফর্মার। এই চিন্তাধারার সাথে আমাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে। বিশ্বকাপের আগে এটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

শ্রীলঙ্কার কাছে হারের পর এশিয়া কাপে ভারতের ভাগ্য অনেকটাই তাদের হাতে নেই। এখন রোহিতের দলকে আফগানিস্তানের সঙ্গে জিততেই হবে। তার আগে বুধবার আফগানিস্তানকে যদি পাকিস্তান হারায়, তাহলে ফাইনালে যাওয়ার সব রাস্তা ভারতের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে।

পাকিস্তানের বিপক্ষে আফগানরা জিতলেও সমীকরণ বাকি থাকবে। শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের হারতেই হবে। এমন হলে ভারত, আফগানিস্তান আর পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে সমান ২ করে। তখন রানরেটের হিসেবে ফাইনালে খেলবে একটি দল। এতসব সমীকরণ মিলে যাওয়াটা বাস্তবতার বিচারে বেশ কঠিনই!

ভালো একটা দল নিয়েও গত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি ভারত। এবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলাটা শঙ্কায় পড়ে গেছে। তবুও আসছে বিশ্বকাপের স্কোয়াড ৯০-৯৫ ভাগ ঠিক করাই আছে বলছেন রোহিত।

‘টিম কম্বিনেশনে শুধুমাত্র কয়েকটি পরিবর্তন ঘটবে। হ্যাঁ, আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার চেষ্টা করে দেখতে চেয়েছিলাম। এশিয়া কাপ শুরুর আগে আমরা যে কম্বিনেশনে খেলেছি যদি দেখেন, এটি ছিল চারজন পেসার, দুই স্পিনার। দ্বিতীয় স্পিনার একজন অলরাউন্ডার। যদি তিন পেসার এবং দুই স্পিনার নিয়ে খেলতে পারেন, তৃতীয় স্পিনার একজন অলরাউন্ডার হন, কেমন হবে? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে চাই।’

‘সত্যি বলতে, রবীন্দ্র জাদেজার চোট এবং দুই পেসারের অনুপস্থিতিতে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাসপ্রিত বুমরাহ এবং হার্শাল প্যাটেল ডেথ ওভারেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে।’

‘যখন মানসম্পন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলছেন, তখন নিজেকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। এটি আমাদের ভেতর অনুপস্থিত ছিল। আমরা কখনোই সেই কম্বিনেশন দিয়ে চেষ্টা করিনি।’

‘আমাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে। আমরা তিন-চারটি সিরিজ খেলেছি, কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছি। এমন একটি সময় আসবে যেখানে আমরা একটি রেখা টানব এবং বলব, এই কম্বিনেশন নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে চাই। এরপর আমাদের আরও দুটি সিরিজ আছে, তারপর বিশ্বকাপ। স্কোয়াড ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কয়েকজন খেলোয়াড়কে চেষ্টা করে দেখতে পারি।’

উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে এশিয়া কাপের ভালো সুযোগ পেয়েছেন রিশভ পান্ট। ফর্মে থাকার পরও ড্রেসিংরুমে বসে থাকছেন দীনেশ কার্তিক। রবীন্দ্র জাদেজার ইনজুরির কারণে একজন বাঁহাতি ব্যাটারের অভাব দূর করতেই পান্টকে খেলাতে হয়েছে, এমন যুক্তি রোহিতের।