চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

নতুন পথচলায় সবাইকে সঙ্গে চান সাকিব

এশিয়া কাপ দিয়ে টি-টুয়েন্টির নেতৃত্বে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। নতুন চ্যালেঞ্জের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলে দাবি করেছেন এ অলরাউন্ডার। সামনের পথচলায় সবাইকে পাশে চান তিনি।

‘দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা তো সবসময়ই একটা গর্বের বিষয়। আমি খুবই আনন্দিত, রোমাঞ্চিত এবং নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

শনিবার রাজধানীতে একটি বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের দূত হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাকিব। তার অধীনে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ব্যর্থতার মিছিল থেকে বাংলাদেশ দল বেরিয়ে আসতে পারবে কিনা সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে সাফল্যের খোঁজ পেতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বদলে ফেলছে অনেক কিছুই। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি কোচিংস্টাফেও বাড়িয়েছে শক্তি।

সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার শ্রীধরন শ্রীরামকে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। আপাতত এশিয়া কাপ ও এরপর অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে কাজ করবেন শ্রীরাম। অস্ট্রেলিয়া দলের কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় তার কাছে প্রত্যাশা থাকবে বেশি। তবে আসল কাজটা যে ক্রিকেটারদেরই সেটি মনে করিয়ে দিলেন সাকিব।

‘আমার মনে হয় না খুব বেশি কিছু প্রত্যাশা করার আছে এখানে। সে অস্ট্রেলিয়া দলের সঙ্গে ৫-৬ বছর ছিলেন। আমাদের বিশ্বকাপটাও অস্ট্রেলিয়াতে। তার অভিজ্ঞতাটা আমাদের কাজে আসবে। এই টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপে কতটা আসবে তা বলাটা মুশকিল। স্বল্প সময়। এখানে আমাদের সবারই একটা দায়িত্ব আছে যার যার জায়গা থেকে, কোচিংস্টাফ থেকে শুরু করে সাপোর্টস্টাফ, বিসিবি, মানুষ, আপনারা-সবাই যদি একসাথে কাজ করতে পারি তাহলে আমার মনে হয় একটা পথযাত্রা শুরু হবে।’

টি-টুয়েন্টি সংস্করণে ১৬ বছরেও বাংলাদেশের নেই বড় কোনো অর্জন। সাফল্য এতই কম যে যে, ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টি-টুয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলাকেই বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভাগ্য বদলাতে অধিনায়ক সাকিব পরিবর্তনের পক্ষেই কথা বললেন। শিশুর মতো আগে হাঁটা শিখে দৌড়াতে চান সামনে।

‘টি-টুয়েন্টি ২০০৬ এ মনে হয় আমরা প্রথম খেলেছি। একটা এশিয়া কাপের ফাইনাল ছাড়া আমাদের আর কোনো অর্জন নেই। তো সেই জায়গা থেকে তো এই ফরম্যাটে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আমাদের নতুন করে শুরু করা ছাড়া উপায় নেই। একটা বাচ্চা যখন পথ চলতে শুরু করে তখন ধাপগুলো অনেক কঠিন। আস্তে আস্তে জিনিসগুলো সহজ হতে থাকে। হয়ত এখান থেকেই ধাপে ধাপে চলতে শুরু করবো এবং একটা সময় দৌড়াতে শুরু করব।’