আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সময় সময় এমন ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যায় যারা সহজেই সংবাদপত্রের শিরোনাম হয়ে যান। আর ওই শিরোনাম দেখে সমাজটাও যেন হয়ে পড়ে হতচকিত। এমনই একটি খবর বিগত ১৭ জুলাই এর এক খ্যাতনামা জাতীয় পত্রিকার ব্যানার হেড লাইনে ছাপা হয়েছে। শিরোনম ‘হিরোর হিরোগিরি’। নিমেষেই খবরটা পড়ে ফেলার লোভ সামলাতে পারলাম না।
খবরে বলা হয়েছে: আবুল খায়ের হিরো-সরকারের এক ছাপোষা কর্মকর্তা হয়ে মাত্র দুই বছরে যেভাবে নিজের জীবনের বাঁক বদলেছেন, তা কেবল চলচ্চিত্রের গল্পেই সম্ভব। সমবায় অধিদফতরের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার আবুল খায়ের হিরো শুধু নামে নন, আসলেই শেয়ার বাজারের অঘোষিত ‘হিরো’। শেয়ার কারসাজি করে একদিকে তিনি শত শত কোটি টাকার মালিক বনেছেন, অন্যদিকে গড়ে তুলেছেন সমাজের প্রভাবশালী কিছু লোকের সঙ্গে সুসম্পর্ক। তাঁর নেই যশ, নেই খ্যাতি-তারপরও হ্যামিলনের বাঁশিয়ালার মত এমন যাদু দেখিয়েছেন, যার বদৌলতে লাখ লাখ সাধারণ মানুষ তো বটেই, দু‘চারজন সেলিব্রিটিও ছুটছেন তাঁর পিছু পিছু। সেই দলে আছেন সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা থেকে শুরু করে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, সম্পদশালী ব্যক্তি ব্যাংকের মালিক, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা পেশার মানুষ।
তাঁর হাতে আছে রাতারাতি ধনুক বের হওয়ার অত্যাশ্চর্য্য জাদুর কাঠি। সেই কাঠির ছোঁয়ায় আগাগোড়া বদলে গেছেন হিরো। হিরোর শীতল ছায়ায় থেকে পাল্টে গেছে অনেকেরই জীবনের রং। তেমনই একজন তাঁর শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। শেয়ার ব্যবসায় নেমে এক বছরের মধ্যেই রাজধানীর বনানীতে কিনেছেন প্রায় তিন কোটি টাকায় বিশাল বহুতল ফ্ল্যাট। আর এক ব্যবসায়ীও শেয়ার বাজারে তালিকাভূক্ত কোম্পনীর মালিক হিরোর উপর ভর করে এত টাকা কামিয়েছেন যে আনন্দে উদ্বেল হয়ে হিরোকে উপহার দিয়েছেন আড়াই কোটি টাকা দামের রেঞ্জ রোভার গাড়ি।
সরকার থেকে হিরো বছরে বেতন পান সাকুল্যে সাত থেকে সাড়ে সাত লাখ টাকা। তবে গত বছর জুনের শেষে তিনি যে আয়কর নথি জমা দিয়েছেন তাতে তিনি উল্লেখ করেছেন-ওই অর্থ বছরে তাঁর নিট সম্পদ মূল্য ২০ কোটি ২১ লাখ টাকা ছিল, যা আগের বছর ছিল ৬৫ লাখ টাকারও কম। অর্থাৎ এক বছর ব্যবধানে তাঁর বেড়েছে ১৯ কোটি টাকার বেশী সম্পদ। আবার ঋণ সহ মোট সম্পদ মূল্য দাঁড়ায় ৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এটা শুধু তাঁর একার এবং এখন থেকে এক বছর আগের টাকার আয়কর নথির হিসাব।
হিরোর সরকারি চাকুরী, তারপরও তাঁর টাকা কামানোর গল্পটা রীতিমত ছিলো চমকালো। ৩১ তম বিসিএস (সমবায়) ক্যাডারভূক্ত সরকারি এই কর্মকর্তার স্ত্রী কাজী শাহিদা হাসান (তখন গৃহিনী) ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে শেয়ার বাজার থেকে আয় করেছেন ৫০ কোটি টাকার বেশী। তাঁর বৃদ্ধ বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম মাতবেরী ওই সময়ের আয় ২০ কোটি টাকারও বেশী। আর ছোট বোন কণিকা আফরোজ তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাঁরও ওই বছরে আয় পৌনে ১৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে পুরো পরিবারের আয় প্রায় ১০৬ কোটি টাকা।
এই আয়ের সবটা মিলে তাঁদের পরিবারের মোট সম্পদ মূল্য এক বছর আগেই ২৭৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ছাড়ায় যা ২০১৯ সালের শেষেও ছিল মাত্র দুই কোটি টাকা। এই আয় ও সম্পদের কোন কিছুই তাঁর বাবা, স্ত্রী বা বোনের অর্জন নয়। আয়কর নথিতে উল্লেখ করা বাবার ৬১ লাখ টাকার সম্পদের বাইরে বাকি সবটাই হিরোর শেয়ার কারসাজির অর্জন।
এখানেই শেষ নয়, শেয়ার কারসাজির আয়ের টাকার এখন বেশ কিছু কোম্পানির মালিক তিনি। খুলেছেন মোনাক নামে নতুন ই-কমার্স সাইটের ব্যবসা। গড়েছেন মোনাক হোটেল এণ্ড রিসোর্ট। তাঁর টাকার ঝনঝনানি এতই বেশি যে ক্রিকেটে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) অন্যতম প্রধান ফ্রান্জাইজি বরিশাল ফরচুনের মালিক বলেছেন। গেল মওসুমে নিজে উপস্থিত থেকে নিলামে ক্রিস গেইলসহ বিশ্বসেরা ক্রিকেটারদের দলে ভিড়িয়েছেন। বরিশাল ফরচুনের প্রতিটি ম্যাচেই হিরো নিজে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে কী করে বিপিএল ফ্রাঞ্জাইজির মালিক হলেন, প্রকাশ্যে এ নিয়ে মাতামাতি করার পরও তাঁর সরকারি দফতর থেকে কেউ কোন প্রশ্ন তোলেনি। হিরোর খুঁটির জোর কত মজবুত-তা এই একটি উদাহরণ থেকেই স্পষ্টই বুঝা যায়।
হিরোর কারসাজি প্রমাণ করার সব কিছুই শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যাণ্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আছে। কোন ব্রোকারেজ হাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে কবে, কখন, কিভাবে এবং কার সঙ্গে মিলে কোন শেয়ার নিয়ে কারসাজি করেছেন-তার সব কথাই আছে এই সংস্থার হাতে। শেয়ার লেনদেন তদারকি করার জন্য সংস্থাটির কাছে যে সার্ভেইল্যান্স সফটওয়্যার আছে, তা ফাঁকি দিয়ে কারও পক্ষেই কারসাজি করা সম্ভব নয়। এতে ধারণা মেলে, নিয়ন্ত্রক সংস্থার আশ্রয় প্রশ্রয় পেছেন হিরো।
হিরোর কারসাজির তথ্য প্রমাণ সংগ্রহে ব্যাপক বাধার পরও তাঁর শেয়ার কেনাবেচা, আয়কর নথি এবং ব্যাংক হিসাবের অংকটাই সংগ্রহ করেছে দৈনিক সমকাল। পত্রিকাটি অনুসন্ধান করে দেখেছে, হিরো গত দুই বছরে মূল শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫০ কোম্পানীর মধ্যে ৬৮টি শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। শুধু এর মধ্যে ৩২টি শেয়ারে বড় ধরণের কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে ওই অনুসন্ধানকালে। যেখানে তিনি শেয়ার লেনদেন সম্পর্কিত সব আইন ও বিধিবিধান লংঘন করেনে। নিজের স্ত্রী, বাবা, বোন ও নামসর্বস্ব সমবায় সমিতির নামে বিও একাউন্ট খুলে সেগুলির নামে শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। শেয়ার কেনাবেচা করে অর্থাৎ সার্কুলার বা সিরিজ ট্রেড করে শেয়ারের দাম বাড়িয়েছেন। যখন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হয়ে ওই শেয়ার কিনেছেন, তখন হিরো তাঁর সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অধ্যাদেশ ১৯৬৯ এর ১৭ (ই) ধারার সুস্পষ্ট লংঘন করে।
বিএসইসি হিরোর শেয়ার কারসাজির সব তথ্য শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জানে। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সংস্থার সার্ভেলান্স বিভাগ কোন ব্যবস্থা নেয় নি অথচ ঢাকা স্টক এক্সঞ্জে (ডিএই) হিরো ও তাঁর সিন্ডিকেটের বিষয়ে গত দুই বছরে অন্তত ২০ টি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এর বাইরে নিয়মিত সার্ভেল্যান্স প্রতিবেদনে তাঁর কারসাজি বিষয়ে শতাধিকবার বিএসইসিকে তথ্য দিয়েছে। এসব প্রতিবেদন দেখেও কোন কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি। উল্টো হিরোর বিষয়ে একের পর এক তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর এক চিঠিতেই ডিএসই.৪ সংশ্লিষ্ট বিভাগের তৎকালীন ইন চার্জসহ সবাইকে একযোগে বদলি করার নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি যা এরই মধ্যে কার্য্যকরও হয়েছে।
অথচ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ আইনের ৮ ধারায় কমিশনের উপর অর্পিত দায়িত্ব হলো প্রতারণামূলক ও অসাধু শেয়ার ব্যবসা বন্ধ করা। কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে ১৯৬৯ সালের সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশের ১৭ (ই) ধারায় স্পষ্ট করে বলা আছে-তার পরিপ্রেক্ষিতে হিরোর বিরুদ্ধে কারসাজি নিয়ে প্রশ্ন নয়, তাঁর বিরুদ্ধে গুরুতর ফৌজদারী অপরাধে মামলা করতে পারে। অপরাধ প্রমাণ হলে তাঁর সব মুনাফা তো বটেই, এ পথে উপার্জিত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত, জেল ও জরিমানা সবই হতে পারে।
জানা গেছে, হিরোর অন্যতম ব্যবসায়িক পার্টনার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বিপিএল এ হিরোর বরিশাল ফরচুনের অধিনায়কও ছিলেন তিনি। সাকিবের সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের ব্রোকারেজ হাউস মোনাক হোণ্ডিংস এবং ই-কমার্স সাইট মোনাক মাটের অংশীদার হিরোর স্ত্রী সাদিয়া। কাগজে কলমে মালিকানায় স্ত্রী হলেও বাস্তবে হিরো একাই সব সামলান। সাকিবও ব্যবসায়ে অর্থ লগ্নি করা ছাড়া আর কিছু করেন না।
হিরো সাধারণত: সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শ্রেণীকক্ষ ও শিক্ষক লাউঞ্জ লাখ লাখ টাকা খরচ করে আধুনিকায়ন করেছেন। শিক্ষক লাউঞ্জের সামানের ফটকে নিজের সরকারি পরিচয়সহ বসানো নামফলকটি জ্বলজ্বল করছে। এ ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগ তাঁকে সম্বর্ধনাও দিয়েছে। সে খবরও ছাপা হয়েছে গণমাধ্যমে।
নিজে সমবায় অধিদফতরের কর্মকর্তা হয়ে একের পর এক সমবায় সমিতি খুলেছেন; বিনিয়োগ করেছেন-আবার কোটি কোটি টাকা ধারও নিয়েছেন। সমবায়গুলো হলো ডিআইটি কো অপারেটিভ, দেশ আইডিয়াল টোস্ট কো-অপারেটিভ, দক্ষিণাঞ্চল কো-অপারেটিভ সোসাইট, নিসর্গ সমবায় সমিতি, পি ৫৯ এফটিসি কোন অপারেটিভ ও বেঙ্গল এগ্রো সমবায় সমিতি। নিজে ও স্ত্রীর সঙ্গে অন্যদের ট্যাক্স ফাইলে এসব সমবায় সমিতিতে কোটি কোটি টাকার শেয়ার থাকা, ঋণ দেওয়া ও দেওয়ার তথ্য নিজেরাই স্বীকার করেছেন।
প্রশ্ন হলো, হিরো একা কিভাবে এত অর্থ এবং প্রভাবশালীদের সান্নিধ্য ও সমীহ পেলেন? এ প্রশ্নের উত্তর আছে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি এবং ব্যাংক হিসাবে। সেখানে উল্লেখ আছে, হিরো এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের শতভাগ আয় এসেছে শেয়ার ব্যবসা থেকে। মূলত: হিরো তাঁর বিশাল অংকের আয় ও সম্পদ অর্জন করেছেন শেয়ার কারসাজি করে। হিরো গত দুই বছরে বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের কারসাজি চক্রের সবচেয়ে বড়হোতা বনেছেন।
অথচ শেয়ার কারসাজি তো দূরের কথা, শেয়ার ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর বিধিনিষেধ আছে। পাবলিক সার্ভেন্টস কনভাক্ট রুলস এর ১৫ ধারায় সুস্পষ্ট বলা আছে কোন সরকারি কর্মকর্তা যে কোন ধরণের ( স্পেকুলেটিভ) অনুমান ভিত্তিক কোন ব্যবসায় ( যেখানে দর খুব দ্রুত ওঠানামা করার সুযোগ আছে যেমন শেয়ার ব্যবসা) তাতে অভ্যাসগতভাবে জড়িত হতে পারেন না।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা, সরকারি নিয়ম কানুন, সরকারি বিধি বিধানের তোয়াক্কা যে সরকরি কর্মকর্তারাই করেন না বাংলাদেশে, হিরো তা সুস্পষ্টভাবে দেখিয়ে দিলেন। তিনি আরও দেখালেন-আইন মানার দরকার নেই, ম্যানেজ করতে জানলে আইন না মানার অপরাধে সামান্যতম শাস্তিরও কোন আশংকা নেই-বাংলাদেশ।
তাহলে যাদুটা কোথায়!
সেটা তেমন একটা খোঁজার প্রয়োজন নেই। হিরোর এবং তার পরিবারের ব্যাংক লেনদেন ও অপরাপর আদান প্রদানের মধ্যেই সে যাদুর সন্ধান নিহিত রয়েছেন। সংবাদ শিরোনামে পৃথক একটি প্রতিবেদনে যার শিরোনাম ছিল “বছরে ৮,৯০০ কোটি টাকার লেনদেন এক পরিবারের তার সুস্পষ্ট সন্ধান পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে:
শেয়ারবাজারে ধসের আগে-২০০৯-১০ সালে দুই বছরে কারসাজি চক্রের হোতা ইয়াকুব আলী খোন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি দুই বছরের শেয়ার কারসাজি করতে গিয়ে ৪,২০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করেছিলেন। কিন্তু এখনকার বাজারের কুয়াড়ি আবুল খায়ের হিরো নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে শুধুমাত্র ২০২১ সালে ৮,৯০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা করেছেন। পত্রিকাটির অনুসন্ধানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
তা হলে হিরোর পক্ষে দু’চার বছরের মধ্যে, যদি কোন অজানা ঝড়ের মুখোমুখি হতে হয় বা মারাত্মক কোন পরিস্থিতির শিকার হতে হয় আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে গোটা বাংলাদেশের তাবৎ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া আগামী ৮/১০ বছরের মধ্যে খুব একটা কঠিন কি?
হিরো সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা। সমবায় কি-তা তাঁর নিশ্চয়ই ভালভাবে জানা। তাই তিনি যদি তাঁর মত অভিজ্ঞ আর গোটা দশেক ব্যক্তিকে নিয়ে একটি নতুন ধরণের সমবায় মালিক গড়ে তুলতে পারেন তখন ওই সমিতির সকল সদস্য সদস্যা মিলে যৌথভাবে নিশ্চয়ই ৮/১০ বছরের মধ্যে সমগ্র বাংলাদেশের মালিক বনে যেতে পারেন।
আমরা এমনই উন্নয়নের খপ্পড়ে পড়েছি যে খোদ সরকারি নিয়মকানুন সরকারি কর্মকর্তারাই মানেন না, এবং তারপরও তাঁদের কিছু হয় না।
জানিনা, দেশের ভবিষ্যৎ কোন পথে ধাবিত হতে চলেছে। এই হিরো আবার পেয়ে গেলেনে দায়মুক্তি! বলতে ইচ্ছে হচ্ছে
“ধরণী দ্বিধা হও”।
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)