ব্রাজিলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর সমর্থকদের দেশটির কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে তা দমনে কঠোর অবস্থান ব্যক্ত করেছেন ব্রাজিলের সদ্য শপথ নেওয়া প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা।
বিভিন্ন গণমাধ্যম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গত অক্টোবরে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো পরাজিত হন। কিন্তু তিনি পরাজয় মেনে নেননি। ১ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সোমবার পেটে ব্যথা নিয়ে তিনি ফ্লোরিডার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জাইর বলসোনারোর পরাজয় মেনে না নেওয়ায় দেশটিতে জনবিভক্তি তৈরি হয়। বলসোনারো সমর্থকরা দেশটির বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ স্থান গুলোতে জড়ো হতে থাকে যা দেশটিতে বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়েছে।
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলো তে দশ হাজারের ও বেশি মানুষ এখন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সমর্থনে বিক্ষোভ করছেন।
রাজধানীর বিখ্যাত একটি সড়ক পাউলিসতা এভেনিউতে জড়ো হয়েছেন অনেক বিক্ষোভকারী। তারা সেখানে নাচ, গান ও স্লোগানের মাধ্যমে ন্যয়বিচার দাবি করছেন।
নির্বাচনের পরদিন থেকেই বলসোরানোর সমর্থকরা দেশটির সেনাবাহিনীর কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিতে শুরু করে। সেখান থেকেই আট কিলোমিটার হেটে গিয়ে তারা ব্রাজিলের কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্টের প্রসাদ এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালায়।
হামলার সময় দীর্ঘ রাস্তায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে তেমন কোন বাঁধা দেয়নি কেনো সে ব্যপারে প্রশ্ন উঠছে। এছাড়া রাজধানীর এই কঠোর নিরাপত্তা বেষ্ঠিত এরিয়ায় তারা কিভাবে হামলা চালাতে সমর্থ হল, দেশটির সেনাবাহিনী কী ভূমিকা পালন করল, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। হামলার ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ফ্লাভিও ডিনো। আর দেশটির সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রোসা ওয়েবার বলেছেন, রোববার ব্রাসিলিয়ায় নিরাপত্তার দায়িত্বে যারা ছিলেন, তাদের সবাইকে তদন্তের আওতায় আনা হবে।