চিলির বিপক্ষে ২০১৬ সালে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারের আক্ষেপ নিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার কোচের দায়িত্ব নেয়ার আগে সেই অভিমান ভাঙান লিওনেল স্কালোনি। পরে মেসির হাতে উঠেছে দুটি শিরোপা। এখন অপেক্ষা আজন্ম আক্ষেপ বিশ্বকাপ শিরোপা খরা ঘোচানোর।
কাতার বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে প্রীতি ম্যাচে ভালোই করছে আর্জেন্টিনা। ইতালিকে ফিনালিস্সিমায় হারানোর পর এস্তোনিয়ার বিপক্ষে একাই পাঁচ গোল করে জয় এনেছেন মেসি। এমন পারফরম্যান্সের পর মেসিকে বিশ্ব ঐতিহ্য বলেছেন আলবিসেলেস্তেদের কোচ স্কালোনি।
ইউরোসেরা ইতালিকে ৩-০ গোলে হারানোর দিনে দুর্দান্ত খেলেছেন মেসি, দুটি অ্যাসিস্ট থাকলেও অবশ্য গোল পাননি। হয়েছিলেন ম্যাচসেরা। সেদিনের গোলের আক্ষেপ যেন সুদে-আসলে এদিন ঘুচিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহারথী। এস্তোনিয়ার জালে গুনে গুনে পাঁচ গোল জড়িয়েছেন একাই। প্রতিপক্ষ রক্ষণ নিয়ে ছেলেখেলাই করেছেন ৩৪ বর্ষী মহাতারকা।
জাতীয় দলের হয়ে ১৬২ ম্যাচে ৮৬ গোল এখন মেসির। দারুণ জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানাতে যথার্থ শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না স্কালোনি।
‘আমি জানি না নতুন আর কী বলতে পারি। বলা কঠিন। তিনি নাদালের মতো, তাকে বর্ণনা করার জন্য কোনো শব্দ বাকি আছে কী? তিনি সৃষ্টি করেন, তিনি অনন্য। এই দলে তাকে পেয়ে, তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া, কীভাবে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজেকে উৎসর্গ করেন, তা দেখা সত্যিই ভীষণ আনন্দের।’
২০১২ সালে লেভারকুসেনের বিপক্ষে বার্সার ৭-১ গোলে জয়ের দিনেও পাঁচ গোল করেছিলেন মেসি। এবার আর্জেন্টিনার হয়ে একই কীর্তি। তার এমন দাপুটে দিনে মেসি-বন্দনাই স্বাভাবিক, অনেকের মধ্যে তাতে বড় ব্যতিক্রম স্কালোনি।
মেসিকে অবসর থেকে ফিরেয়ে এনে শিরোপা আক্ষেপ দূর করিয়েছেন। সেরাদের সেরা বানানোর পথেই রেখেছেন। মেসি-বন্দনা তাই তার কণ্ঠেই যেন বেশি মানায়।
‘আমরা কেবল তাকে ধন্যবাদ জানাতে পারি। তিনি কেবল আর্জেন্টিনার ঐতিহ্য নন, বিশ্ব ঐতিহ্য। যখন আর খেলবেন না, আমরা তাকে মিস করব। আশা করি খেলতে থাকবেন। সবাই তাকে উপভোগ করবে এবং আগলে রাখবে, কারণ তিনি মাঠে থাকা মানেই আনন্দদায়ক।’